অগ্নি জ্বলে, স্মৃতির ভিতর ছাই-ভস্মের কথা পড়ে থাকে
বিশ্বাস করো, ভালোবাসাকে ফিরে যেতে স্পষ্ট
দেখেছি, জীবনে কাম, ক্রোধ
আসে, পাথরের মতো ঘৃণা, মৃত্যুভয় যেন অপরাহ্ণের
ছায়া, পাখির ভয়াবহ ডাকে ক্রমে সে
আরও ধারালো হয়ে উঠছে।
আমি কল্পনার পায়ে ফুল দিই, প্রণাম করি, এ জীবনে
নক্ষত্র হয়ে উঠতে পারলাম না বলে খুব
কষ্ট হয়, ক্ষুধা, আনখশীর প্রণয় আমাকে নষ্ট করেছে
সে জন্যে তাকে অভিশাপ করি, আয়না বলো
এরপর আমি কী করতে পারি?
পাড়ার লোকের কাছে আমি মেঘের মতো–
দোকান-বাজারে কুয়াশা, ঘরে
যেন বৃষ্টি, প্রিয়জনদের কাছে সবুজ-উদ্ভিদ, শুধু
একজন নারী বলেছিলো–
তুমি আমার একলার চাঁদ, তোমাকে আমার আকাশে
কেবল একা আমিই দেখতে পাই।
কবি পরিচিতি: সত্তরের কবি। সুব্রত সরকার একটি বিশেষ নাম বাংলা কবিতা ভুবনে। যিনি তার অদ্ভুত আত্মজীবনী বারবার তুলে ধরেন তাঁর রচনায়। অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র না-ঘটনা এক বিশ^ অভিজ্ঞান নিয়ে উঠে আসে তাঁর কলমে। কী কবিতায়, কী গদ্যে! প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ : দেবদারু কলোনী (১৯৭৯), গত জন্মের ঋতু (১৯৮৬), তোমাদের খুব ভালোবেসেছি (১৯৮৬), সহ্য করো, বাংলা ভাষা (১৯৯১), তোমাকে মিথ্যে বলেছি (১৯৯২), ঘন মেঘ বলে ঋ (১৯৯৭), বহুত আঁধিয়ার হো বাবু, হামে কুচ রোশনি চাহিয়ে (১৯৯৯), একাকী মানুষের সৌন্দর্য্য (২০০২), ফারেনহাইট ফোর ফিপটি ওয়ান ডিগ্রি (২০০৪), অন্তঃস্ত বিসর্গ (২০১০), না স্নেহকর স্পর্শ (২০১৩), কবিতাসমগ্র (২০১২)। গদ্যগ্রন্থ: পরিচ্ছন্নতা ও বিষাদের বেদী (২০০৮), রক্তমাংসের পান্ডুলিপি ও শকুনের ডানার কলম (২০১৮)।