সেদিন বাংলার মানুষের চোখে মুখে
বিজয়ের দারুণ উত্তাল উজ্জ্বল উল্লাস
দেহের অলিতে গলিতে মহানন্দে এসেছিলো।
বিজয় এসেছিলো স্বপ্ন রাঙাতে
আঁধার ঘুচাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে
যত শক্তি চাই তত শক্তি দিতে।
বিজয় এসেছিলো মা’য়ের ইজ্জত বাঁচাতে
বোনের ইজ্জত বাঁচাতে শিশু কিশোরী
কন্যা কে পিশাচের কবল থেকে রক্ষা করতে।
বিজয় এসেছিলো বাঙালি সত্তার অধিকার দিতে
সত্তা খামচে ধরা শকুন হায়েনা দেশদ্রোহী
চৈতন্য চেতনা সর্বনাশকারী থেকে বাঁচাতে।
বিজয় এসেছিলো ভয়াল রক্ত নদী পেরিয়ে
সার্বভৌম স্বাধীন বাংলার সীমানা আঁকতে,
চির শোষণ পীড়নের বিরুদ্ধে আজন্ম লড়তে।
বিজয় এসেছিলো এক বুকে করুণ বেদনা
রক্ত লাশ পঁচা গন্ধে স্বজন হারনো যন্ত্রনা নিয়ে
আরেক বুকে মুক্তির চরম আনন্দ অনুভূতিতে।
আজ বড় আনন্দ উৎসবে দু’টি চোখ সিক্ত
অন্তর বেদনার আগুনে পুড়ে ছারখার
আজ আমরাই আমাদের শত্রু শক্তি,
আজ আমরাই খেলি আমাদের রক্তের হোলি।
নিত্য শত্রু শত্রু খেলায় বার বার মনে করে দেয়
সেদিন বিজয় এসেছিলো বিজয় আসেনি।
–গুলজার হোসেন গরিব