আমার স্বপ্নগুলোতে/ আজকাল/ একই ঘটনা
পুনরাবৃত্তিতে ফিরে/ ফিরে আসে/ একঘেঁয়ে লাগে।
সেই আমি তুমি তারা/ ভালোবাসা/ প্রেম, স্বপ্ন, ইচ্ছে
ইত্যাদি, বৈচিত্র্য নেই/ ভাঙাচোরা / রূপকথা যত!
অথচ স্বপ্নের মতো/ আদিখ্যেতা / দেখানোর জন্য
নাজুক সময়ে আমি/ স্বপ্নগুলো/ ঘুম পাড়ানোর
জন্য মুঠো মুঠো রাত / জড়ো করি/ চোখের পাতায়।
আজকাল চোখ বন্ধ / হলে শুরু/ হয় আর্তনাদ
কারো গোঙানির মতো/ শব্দ শুনে/ কেঁপে ওঠে মন।
কেউ একজন বাঁচা/ মরার সে/ লড়াইয়ে হারে।
ঊরুসন্ধি বেয়ে ঝরে/ রক্তলাল/ কারো কামনায়
জঠরে বিষের বোঝা/ যন্ত্রণায়/ প্রশ্নবিদ্ধ করে।
মানচিত্রে সবুজের / বুক জুড়ে / বৃত্তাকারে লাল
ক্রমাগত ঘনীভূত / হয় আরো/ নিষ্ঠুরভাবে কত!
ফসলের মাঠে নামে/ আঁধারের / গভীর অরণ্য
নদীর পাড়ের দিকে / উলঙ্গিনী / লজ্জা ঢাকে জলে।
পতাকায় সমবেত / আস্ফালন / মায়ের আদর
ক্রমশই দূরবর্তী / মৃত্তিকার / গোপন ক্রন্দন।
ছাপান্ন হাজার জুড়ে / শোকাচ্ছন্ন/ আচ্ছন্ন সময়
বর্গমাইলের হিসেবে /বেহিসেবি / তন্দ্রাঘোরে আমি।
নপুংসক নরপশু / উল্লম্ফন / করে চারিদিকে
তাণ্ডবের মতো ঘুরে/ জুলুজুলু / চোখ গেঁথে দেয়
সব আনাচকানাচে / শরীরের / ভেতর লুকিয়ে
রঞ্জনরশ্মি হয়ে ঘোরে/ আকাঙ্ক্ষার/ বিষবাষ্প নিয়ে।
টুটি চেপে ধরি আমি/ স্বপ্নভূক/ জীবনকে বলি
খামোশ! পেঁচিয়ে আছে/ সেই সাপ/ উদ্যত ফণায়
আঘাতে আঘাতে হত্যা / করি তার / লোভাতুর দৃষ্টি।
উত্থিত ফণায় গেঁথে / রাখি যেন / বিজয়ের হাসি
আমার স্বপ্নেরা আজ/ সত্য বড়ো/ ভীষণ অবাক
লুটেরা প্রেমিক আসে/ লুটপাট / করবার জন্য
জ্বলজ্বল করে ফলা/ তীক্ষ্ণ কষ্টে / আমিই আহত
করি সেই সব স্বপ্ন / অবাস্তব / নিরেট নির্দয়।
এখন আমার স্বপ্ন/ জুড়ে চার/ লাখ নারী নয়!
বরং বেহিসাবে দেখি/ অগণিত/ কান্নার স্রোতের
সাথে অস্ফুট অস্তিত্ব / লজ্জা রাখে/ গচ্ছিত সময়ে।
এ লজ্জা আমার নয়/ আমাদের / কারো নয় জেনো
নারীজন্ম বৃথা নয়/ জঠরের/ ঋণটুকু শুধো।
ফল্গুধারার মতন/ নহরের/ দেনা আজো বাকি
আজ আমি মানুষের / মাঝে তাই/ মানুষকে খুঁজি।
স্বপ্নের মতন কোনো / নিশিকাব্যে/ জীবনকে লিখি।
-ফারহানা নীলা