জনতার আদালতে সময়ের দাবি

অগণিত ভাইয়ের রক্ত আর বোনের সম্ভ্রম
এনেছে স্বাধীনতা।
সবুজ জমিনে জমা রক্তের নিশান
গর্বের পতাকা।
পিতার রক্তে কলঙ্কিত এ দেশ, জাতি।
তাই বুঝি মায়ের শরীর আজ
রঞ্জিত, বিবস্ত্র বারবার!
সন্দেহে রক্তের স্বজন।
লজ্জিত পবিত্র শিক্ষাঙ্গন!
ধর্মের ধ্বজা ওড়ে দিকে দিকে
জন্ম অঙ্গে কেন এত আক্রোশ, অপমান!
কার সাথে তুলনা দেবো?
শ্বাপদ! দাঁতাল শুয়োর!
প্রতিবাদে বলছে ওরা,
স্বজাতিকে আঁকে না নখরে।
বধির সন্তান এরা
‘বাবা’ ডাকে ভ্রুক্ষেপ নেই।
পাষণ্ড পিতা এরা
শিশু দেহে বিকার নেই।
লজ্জা হয় জঠরের মহিমা বোঝাতে
ব্যর্থ মায়ের জন্য।
কুণ্ঠিত পিতার কণ্ঠে আরোপিত আজ
অমানুষ তৈরির দায়ভার।
অসংযত কামনার বলি, কত শত?
পাশবিক মৃত্যু, আর কত!
আইনের প্রয়োগ কেন পরাভূত?
মৃত্যুদণ্ড চাই সব পাষণ্ডের।
কর্তিত অঙ্গে চাই ধর্ষিতার সান্ত্বনা।
বিধ্বস্ত মন আর মৃত চেতনা
জাগুক আজ এক মন্ত্রে,
স্বজ্ঞানে করা এ পাপের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই,
ফিরে পেতে চাই লুণ্ঠিত, মানবতা।

জেরিন মোসফেকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *