তবুও রোদেরা আরোপ করেনি
আমার কাছে শব্দবিন্যাস, এখানে
ছিপছিপে দেহের কোনো দুরন্ত
কিশোর অবলিলায় হামাগুড়ি দেয়
ভাঙ্গা দেয়ালের চূড়া। নিয়ত অনুচ্চার
হওয়া কোনো সিম্ফনি’তে মোজার্ট
হয়তো হৃৎপিণ্ডের ডাক শুনেছে,
অথচ সে সুরের নির্লিপ্ততা পৃথিবীর
বায়ুস্তরে স্ত্রস্ত হয়ে ছুটে গেছে,
পরাধীন সকল অলিতে গলিতে
ভেসে বেড়িয়েছে দীর্ঘকাল। যে
আত্মায় অসুর বিঁধিয়েছে ত্রিশুল, সে
আত্মায় জন্মান্ধ ছায়ারা নতজানু
পরাজিত দেবতাদের ঘুমন্ত
সিংহাসনে। অপসৃত শূন্যতা মানেই
যদি হয় জীবনের শব্দার্থ সেখানে
কাঁটাতার একটা বিভাজন মাত্র, ভাগ
করে রাখা শিরোস্ত্রাণে অদূরবর্তী
ক্রোধ। ফাঁকা অস্ত্রের মুখে
সাম্রাজ্যবাদী ঈশ্বর আঙুলের কড়া
দেখে দ্রোহের নামে নামতা গুণে।
ছিলোনা অজস্র ক্লান্তির মতো তবুও
সহমর্মিতা, আর্তের কাছে অবিনশ্বর
ছিলো একালের কমরেড। আমাদের
পুরনো অহমিকায় একজন মার্টিন
কিংবা একজন ম্যান্ডেলা দাস হয়ে
জন্মায় জন্মান্তরের জঠরে, কালো
পাখীদের ডানায় ভর করে অশুভ
কিছুর চোরা স্রোত। বর্ণবাদী
অধিপতিদের কাছে এ খুব
সাদামাটা, দূরত্বের বীজ বুনে দিয়ে
তারা ভেসে যায় কালের গহ্বরে,
পেছনে দিক ভুলে যায় সাধারণ
পৃথিবী। অস্তিত্বের মিছিলে শামিল
হয়না রক্তহীন শরীর, মানুষ জমে
থাকে পবিত্র গ্রন্থে…….
ইফতি হাবিব