দেবলীনা এসো আরেকবার এই আকালে
এসো স্ফটিক মনের খোলা আয়নার খুব গভীরে,
দেখে যাও…. কেমন তিমিরে আজো আমি খুঁজি নিজেকে!
সেদিনের সেই বরফ শীতল মনে জ্বেলে দিলে বিরূপ অনল,
অন্তরালে ছিল কতটা দহন!
জানো নাই তুমি, জানো নাই দেবলীনা,
কতবার পুড়েছি আমি তুমিহীনা।
আমার লাশের ওপর লাশ,
জীবনের পর মরণের কালোথাবা,
অন্তিম ইচ্ছার সহমরণ আর তোমার দৃপ্তপায়ে চলে যাওয়া….
এভাবে না গেলেই কি নয়?
এভাবে না পোড়ালেই কি নয়?
কতবার আমি এনেছি জল,
কতবার আমি ডুবেছি অতল…
প্রেমহীন এক নগরে!
তারপর কত কত ফাগুন, গিয়েছে চলে আমারই রঙে লাল সেজে;
কত কত শ্রাবণ গিয়েছে ভেসে
আমারই ডুবজলে!
কতবারই তো আমি সেঁধে এনেছি ষড়ঋতুর বিচিত্র বর্ণ, মন উজালা মদির ঘ্রাণ;
মোক্ষম সময়ের করতলে রেখেছি জীবন
নয়নের আড়িপাতা ক্ষণ!
দেবলীনা জানি তুমিও অচল মুদ্রা
এও জানি… রূপরসে এনেছো সুধা।
বয়সী বৃক্ষতলে দিন গুজার উন্মাতাল মনে
পল্লবিত শাখে রেখেছো দিনযামিনী,
হয়েছো নিষ্প্রান আমি বিহনে।
ছেড়ে গেছো ভনিতার নগর
দেবালয়ের হাতছানিতে…
এখন আমার বুকের ভিতর শূূূূণ্যগর্ভ
প্রতিধ্বনিত শব্দময় চারিধার।
ওখানে তুমি নয়, নয় কোনো অহেতুক জীবনের ছায়া;
ওখানে প্রেম নয়, নয় কোনো প্রেমিক হৃদয়,
পরে আছে জীবনের ফসিল!
এপিটাফে লেখা… পরাজয় স্বীকার আর এক আমি’র বিগত যৌবনা জীবনের কংকাল!
দেবলীনা,দেবলীনা…
আমি এখন আকাশের পর আকাশ,
বাতাসের পর বাতাস!
ভস্মীভূত চিতায় এখন কেবলই স্মৃতি পোড়া ঘ্রাণ!
সময়ের কড়িকাঠে ক্ষয়ে যাওয়া দিনের মৃত্যু অপঘাত!
দেবলীনা,দেবলীনা…
বিরূদ্ধ প্লাবনে এনেছি সুনামি
ডুবে যদি মরো, তাও আজ অকাতরে জানি…
এ তুমি নির্ভার আজ বড় বেশী!
ক্ষয়িষ্ণু জীবনের হাতে তবে কেন বেঁধেছিলে রাখী?
-ফারহানা নীলা