বিহঙ্গ

একটা অস্থির রাত শেষে যখন ঘুম ভেঙ্গে গেলো,
ভোরের স্নিগ্ধ আলো জানালা বেয়ে উপচে পড়ছে,
বিশ্বাস করো আমি সেই আলোয় ভুলে গেছি
গতকাল রাতের পাজর বিদীর্ণ করা দগদগে ক্ষত।
আমি ভুলে গেছি কালো রাতের মায়াবী ভালোবাসার
বুক এঁফোড় ওঁফোড় করা যন্ত্রণার কালো কালো দাগ।

জানো তুমি ?
আমি বরং সব বিষাদ ভুলে
সবুজ ঘাসের উপর শিশির কণা দেখি,
ফুলে ফুলে ছুটে বেড়ায় মৌমাছি গভীর আবেগে !
আমি দেখি জানালায় এসে আমার দিকে চেয়ে থাকে
একটা হলুদ নীল প্রজাপতি !
আমি শুনি দক্ষিণের জানালায় বসা কোকিলের সুমধুর কন্ঠ,
মনে হচ্ছে কত আকুল ভরা কন্ঠে সে তার প্রিয়তমকে ডাকছে।
আমি গাছের ডালে কিচির মিচির পাখির শব্দে
গত রাতে ঝড়ের সব লন্ড ভন্ড হওয়া ভালোবাসা
বুকের ভেতর আবার অল্প অল্প করে সাজাচ্ছি।

আমি জানালায় আসতেই নেমে আসে এক চঞ্চলা পাখি,
তারে আমি সুধাই !
ও বিহঙ্গ …! এত চঞ্চলা কেন তুমি ?
কি নাম তোমার !
বিহঙ্গ নিরুত্তর ,কেবল তাকিয়ে আমাকে দেখে !
একটা ঝড়ের পর বিষাদ মাখা মানুষটি কেমন করে ভালো থাকে,
বিহঙ্গ তাই বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা করে হয়তো।

বিহঙ্গ কে বলি, প্রতিদিন এভাবে আসবেতো !,
প্রতিটি ভোরের সকালে তোমার জন্য মেলে দেবো
অফুরন্ত ভালোবাসার শস্য কণা।
অজস্র ভালোবাসার মুগ্ধতায় দুঃখ ভুলে গিয়ে
তুমিহীনা প্রতিটি ভোরের সকালে
আমি মিতালী পাতাবো বিহঙ্গের সাথে !!

-নিলয় আহমেদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *