কখনও মেলেনি আশ্বাস
কিছু লেখা যাবে স্ব-ইচ্ছায় কিংবা
অপার স্বাধীনতায়!
একটা শৃংখলিত হবার ভ্রুকুটি সব সময় পিছু লেগেছিলো।
সেই শৈশবে খেলার ছলে
আড়ালে লুকিয়ে কিছু লিখেছিলাম বলে
একটু ভর্ৎসনা ছিলো পুরষ্কার।
যৌবনে মেলেনি কোনো ছাড়পত্র,
কঠিন আবরনে ঘেরা জীবনে
এতটুকু স্বপ্নময় হয়নি জীবন, কবিতার মতো সুললিত।
পদ্যের মতো হয়নি কখনও জীবন ছন্দময়,
তারপরও মেঘ ভাঙা রোদ উঁকি দিতো আকাশ নীলে,
এলোমেলো হাওয়ায় গুটি গুটি পায়ে বর্নমালা
এসে দাড়ায়,মনের খাতায়
শব্দ গেঁথে যায় কবিতার ঢঙে,
ভালোবাসা আসে নিঃশব্দে, মন ডুবে যায় কবিতার অন্তঃপুরে।
শ্যাওলা জমা শান বাধানো ঘাটে,পদ্মফুল তুলতে যাওয়ার ছলে,
কবিতারা এসে যেতো দল বেধে গভীর জলের কাব্যে।
একদিন রুদ্রাণী বৈশাখী ঝড় হয়,
সবুজ অরণ্য গাঢ় নীল কুয়াশায় ঢেকে যায়,
বর্ণমালারা চকিত পাখী হয়ে উড়ে যায়
বড়ো অসময়ে মেঘে ঢাকা আকাশে।
তারপর সময় ভাঙ্গে সকালের হাতধরে,রাতের গভীরে, কত দিন উড়েনি কোনো শঙ্খ চিল,
কিংবা একাকী ভাসেনি কোনো সজল মেঘ
আমার নিস্তরঙ্গ মনের আকাশে!
আচমকা মনের মাঝে জমে থাকা এতো শব্দ,এতো সুর
জানিনা কোন ভৈরবীরাগে,
বেজে উঠলো শ্রাবনের এক
বর্ষনমুখর সন্ধ্যায়,আলোকিত করে মনের আকাশ!
নক্ষত্রের দুত্যিময় আলোর ভূবনে কবিতারা ডানা মেললো,
অব্যক্ত যা ছিলো এতোদিন।
তাহলে কি শেষ বিকেলের বিদায়ী সুর বেজে গেছে!
এখনতো কবিতা লেখার সময় নয়,অবেলায় কেনো কবিতা আসে বার বার।
আকাশের মেঘগুলো উড়ে যেতে যেতে দেখে
বন্দী গারদে শব্দগুলো বড়ো বেশী বৃষ্টিজল চায়
অথচ জলহীন মেঘগুলো শুধু আমার একলা আকাশে
নিরবে ভেসে বেড়ায়।
কবিতার ছাড়পত্র আজও আসেনি আমার জীবনে,
এখনও কি অপেক্ষার প্রহর গুনবো,কামিনীর সুবাস জড়ায়ে হৃদয়ে,
বেলাশেষের সুর কি বেজে যাবে কেবলই অলকানন্দার জলে!!
-হাছিনা মমতাজ ডলি