মহল্লার বড় মাতবর নওয়াব আলীর বাড়িতে শিলাকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তার বিচার হবে। ছোট খাট একটা জটলা ভিড় করে আছে নওয়াব আলীর বাড়ির সামনে। ভিড়ের মধ্যে আরো কিছু পাওনাদারদের দেখা গেল। চায়ের দোকানদার, মুদি দোকানদার, বাড়িওয়ালা—কেউ বাদ পড়েনি। নওয়াব আলীর ঘরের বারান্দায় শিলাকে বসতে দেয়া হয়েছে। সিয়ামকে কোলে নিয়ে অনিশ্চিত ভীত চোখে চুপচাপ বসে রয়েছে শিলা। কোনো এক রহস্যজনক কারণে সিয়াম আর কোনরকম কান্নাকাটি করছে না। নওয়াব আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম দাঁড়িয়ে আছে শিলার পাশে।
মজলিশ শুরু হলো। সবাই একে একে যার যার কথা বলছে। নওয়াব আলী মনোযোগ সহকারে সবার কথা শুনলেন। অভিযোগ শুনানি শেষ হলো। এবার রায় দেবার পালা। হুক্কায় বড় একটা টান দিয়ে নাকে-মুখে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে একটু কেশে নিয়ে নোয়াব আলী তার বক্তব্য শুরু করলেন।
‘আমি সবার কথাই শুনলাম। শফিকের কাছে সর্বমোট পাওনা হইল প্রায় দশ হাজার টাকার মত। আমার কাছ থিকাও সে সময়ে-অসময়ে অনেক টাকাই সে নিছে। সুদে আসলে সেই টাকা পাঁচের কম হবে না।’
মাথা নেড়ে সেই কথার সমর্থন করলেন সবাই।
‘ঐ হারামজাদা তো পলাইছে। এই অবস্থায় আমাদের করণীয় কী, সেইটার বিবেচনা আপনেরা করেন।’ নওয়াব আলী উপস্থিত সবার মতামত জানতে চাইলেন।
সবার মত শফিকের বাড়িওয়ালারও অগাধ বিশ্বাস নওয়াব আলীর প্রতি। তাই সেও চায় নওয়াব সাহেবই এর একটা বিহিত করুক। সে বলল, ‘বড় ভাই, আপনে যেইটা বলবেন, সেইটাই হবে।’
‘আমার বিবেচনায়, আরো কয়টা দিন দেরী করা যাইতে পারে। দেখি ভাদাইম্মাটা ফিরা আসে কিনা?’
মুদি দোকানদার আর দেরী করতে রাজী না। সে চায় ব্যাবস্থা যা করার এখনই। সময় নষ্ট করার কোনো মানে নাই। সে তার মতামত জানিয়ে বলল, ‘ও ফিরা আসলেই বা কি? পাওনা টেকা ফেরত দিবার ক্ষমতা কি তার আছে? আর দেখা দেখি না—অনেক তো দেখলাম। আর না।’
আরেক পাওনাদার সাফ সাফ জানিয়ে বলল, ‘আমিও আর দেরী করতে চাই না। আপনার কাছে আইছি, আপনে এর একটা বিহিত করেন।’
‘আমি বিহিত করার কেউ না। আপনেরা দশজনে মিলা যেই সিদ্দ্বান্ত নিবেন, সেইটাই হবে।’
নওয়াব আলীর এই কথার প্রেক্ষিতে শফিকের এক বন্ধু বলল, ‘বড় ভাই, শফিক কিন্তু কইছিল—ওর ছেলেটারে বেচতে পারলে ধার-দেনা শোধ করত।’
এ কথায় চমকে উঠে শিলা। অসহায় চোখে তাকায় নওয়াব আলীর দিকে। কিন্তু আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়—কিছু বলার মত শক্তি বা সাহস তার নেই। শিশু সিয়াম মায়ের কোলে খেলছে।
জটলার মধ্যে থেকে শফিকের আর এক বন্ধু বলল ‘বড় ভাই, আপনে ওর ছেলেটারে কিনা নেন। আর পাওনাদাররা হের বৌর কাছ থিকা যার যার পাওনা বুইঝা নেক।’
‘কে? কে কইল এই কথাটা?’
নওয়াব আলীর কৃত্রিম রাগের ঝটকায় সামনে এসে দাড়াল পরামর্শ দাতা। ‘বড় ভাই আমি কইছি। ভুল তো কিছু কই নাই। আপনে আর সবাইরে জিগান।’
‘এই মিয়া তুমার আক্কেলটা কি? এট্টুন একটা দুধের বাচ্চারে তুমি বেইচা দিতে কও?’ নওয়াব আলী সবার দিকে একবার তাকিয়ে তার উদারতা প্রমানের চেষ্টা করল। সে ভর্তৎসনার সুরে আবার বলল, ‘আরে এই পাষাণে কয় কি? ইশসিরে—এমুন পাষাণের মত একটা কথা তুমি কইতে পারলা?’
শফিকের বন্ধু কোনো উত্তর দিল না। অন্যদের সাথে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকল।
নওয়াব আলী তার মমত্ববোধের পরিচয় দেবার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেন। এই পর্যায়ে সে বললেন, ‘এত বড় একটা নিষ্ঠুর কাম তো আমি করতে পারব না। না না এইটা আপনেদের কেমুন বিবেচনা। একটা দুধের বাচ্চারে…’
‘দুধের বাচ্চারে সে খাওয়াবে কী? তার নিজেরই তো পেট চলে না।’ ভীড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন বলল কথাটা শিলার দিকে তাকিয়ে।
এর মধ্যে একজন ইঙ্গিত দিয়ে বলল, ‘একলা থাকলে বরং ভাত দিবার মানুষের অভাব হইব না। সাথে একটা ট্যাও থাকলে ওর ঘরে যাইব কে?’
এমন কথাইয় সবাই মুখ টিপে হাসা শুরু করল। নওয়াব আলী ধমকের শুরে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘আহ এইসব কি ধরনের কথা বার্তা? ময় মুরুব্বী মানো না? আচ্ছা বাদ দেও–আর কথা বাড়াইয়া লাভ নাই। ব্যবস্থা যখন নিতেই হবে আর সবারই যখন একই মত, ঠিক আছে—আমি রাজী।’
এই পর্যায়ে নওয়াব আলী তার স্ত্রীকে ডাকলেন। ‘আমার বেগম কি বলে? আলেয়া বেগম?’
আলেয়া বেগম শাড়ির আচল সরিয়ে সামনে এসে দাড়াল।
নওয়াব আলী সবার দিকে একবার তাকিয়ে তার এক চামচাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই নুরা, সিয়ামের দাম উঠছিল কত রে?’
‘পাঁচ হাজার টেকা হুজুর।’ নুরা তাতক্ষনিক ভাবে উত্তর দিল। সে তৈরী হয়েই ছিল।
‘কি কস, মাত্র পাঁচ হাজার? আচ্ছা যা, আমি ডবল কইরা দিলাম। দশ হাজার।’ বলেই সে তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আলেয়া বেগম, যাও ভিতর থিকা টাকাটা আইনা শফিকের বৌর হাতে দেও। আর সিয়ামরে তুমার কোলে তুইলা নেও।’
‘না না আমি আমার ছেলে বেচব না। আমি আমার ছেলে দিব না।’ এই প্রথম শিলা তীব্রভাবে প্রতিবাদ করল।
কিন্তু শিলার কথার তোয়াক্কা না করে আলেয়া বেগম বলল, ‘তুমি না বললে তো আর হবে না। সবে মিইল্যা ডিছিসন নিছে। এখন কান্নাকাটি কইরা কোনো ফায়দা নাই।’ আলেয়া বেগম কঠিন স্বরে কথা গুলো বলে ভিতরে চলে গেল টাকা আনতে।
‘আমি আমার ছেলেরে বেঁচব না। কিছুতেই না।’ সবার দিকে তাকিয়ে শিলা অনুনয় করে বলল, ‘আপনাগো পায় পড়ি, আমারে একটু সময় দেন। আমি আপনাগো সব টাকা শোধ দিয়ে দিব। আমি আমার দুধের বাচ্চারে কিছুতেই বেঁচব না।’
‘শোধ দিবা ক্যামনে? গতর খাটায়া?’ ভীড়ের মধ্যে কেউ একজন টিপ্পনী কাটল। সবাই খুব মজা পেয়ে হাসতে থাকল যেন এমন মজার কথা কেউ কখনো শুনে নাই।
নওয়াব আলী আবার হুঙ্কার দিলেন। ‘আবার বাজে কথা? আচ্ছা তুমাদের কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নাই?’
সবাই থেমে গেলে শোনা গেল শিলার আহাজারি। সে ক্রমাগত বলেই যাচ্ছে, আমি আমার দুধের বাচ্চাকে কিছুতেই বেঁচব না।
নওয়াব আলী সান্ত্বনার সুরে বললেন, ‘আহা এত উতলা হইতেছ ক্যান? আচ্ছা, তাইলে একটা কাম করো—যখন টাকা শোধ দিবা, তখন তুমি তোমার ছেলেরে ফিরত নিয়া যাবা। ব্যাস মামলা ডিসমিস। আর যত দিন তুমি টেকা শোধ দিবার না পারবা, ততদিন সিয়াম আলেয়া বেগমের কাছে থাকব। এইটাই ফাইনাল।’
নওয়াব আলী তার রায় ঘোষনা দিয়ে ভিতরের দিকে তাকিয়ে জোড়ে ডাকলেন, ‘আলেয়া বেগম?’
আলেয়া বেগম দ্রুত ঘড় থেকে বের হয়ে এলো। তার হাতে এক বান্ডিল টাকা। নওয়াব আলী জানতে চাইলেন, ‘টেকা গুইন্যা আনছ?’
‘জ্বি।’
‘পুরা দশ হাজার আছে তো?’
‘জ্বি।’
‘দেও, শফির বৌর হাতে টেকাটা বুঝায়া দেও। আর ছেলেটারে তুমি ভিতরে নিয়া যাও। দুধ-টুধ খাওয়াও। কতদিন না খায়া আছে কে জানে।’
সবুজ সঙ্কেত পেয়ে আলেয়া বেগম শিলার হাতে টাকার বান্ডিলটা ধরিয়ে দিয়ে একরকম জোড় করেই সিয়ামকে তার কোল থেকে ছিনিয়ে নিল। এবং দেরী না করে ঘরের ভিতরে অদৃশ্য হয়ে গেল।
ঘটনার আকস্মিকতায় শিলা বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না, এসব কি হচ্ছে।
এইবার নওয়াব আলী তার শেষ চাল চাললেন। চামচা নুরাকে ইশারা করতেই সে তার হাতে ভাঁজ করা একটা দলিল বের করে শিলার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘এইখানে দস্তখত দেন।’
‘এইটা কী?’ ভীত কন্ঠে শিলা জানতে চাইল।
‘এইটা হইল দত্তকনামা। দলিল… পঞ্চাশ টেকার ইস্টাম।’
‘না না আমি কোনো কিছুতে দস্তখত দিব না।’
নিভে যাওয়া হুক্কায় পরপর কয়েকটা টান দিয়ে নওয়াব আলী বললেন, ‘না বললেই তো আর হবে না। সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। এইটাই নিয়ম।’
‘দেন সই দেন।’ আবার দলিলটা খুলে এগিয়ে দিল নুরা।
‘দেও শিলা সইটা দিয়ে দেও। আরে এত চিন্তা করতেছ ক্যান। আলেয়ার কাছে তুমার ছেলের কুনো ত্রুটি হবে না। আমরা যা করতেছি তুমার ভালর জন্যিই করতেছি। আর ঝামেলা কইর না।’ নওয়াব আলী অতি বিনয়ের সাথে শিলাকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করলেন।
অসহায় শিলা একটু সাহায্যের জন্যে সকলের দিকে করুণ আর্তিভরা দৃষ্টিতে তাকাল কিন্তু সে দেখতে পেল একদল হায়েনা তার দিকে খুনির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এর থেকে পালিয়ে যাবার আর কোনো রাস্তা নেই। শেষ পর্যন্ত পরাজয় মেনে নেয়া ছাড়া সামনে আর কোনো উপায় থাকল না।
নুরা প্রায় জোড় করেই শিলাকে দিয়ে দস্তখত করিয়ে নিল। একটা বিজয়ের হাসি দিয়ে সে দত্তকনামা নওয়াব আলীর হাতে এনে দিল। নওয়াব আলী তার উপর চাপিয়ে দেয়া দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছেন এমন একটা ভাব নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। মহল্লার সকলের আস্থাভাজন হবার এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করাটা ঠিক হতো না। তিনি সকলের উদ্দশ্যে বললেন, ‘এইবার আপনেরা যার যার পাওনা টেকা বুইঝা নেন। জানি সবের পাওনা শোধ হইব না। তয় বাকী টেকা সে অচিরেই দিয়া দিবে। আপনেরা অধৈর্য্য হবেন না।’
সে এবার শিলাকে বললেন সবাইকে কিছু কিছু টাকা দিয়ে দিতে। একে একে পাওনাদাররা শিলার হাত থেকে টাকা নিতে এগিয়ে গেল। শিলা যেন এক যন্ত্র মানবী। তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কোনো কিছুই এখন আর স্পর্শ করছে না তাকে। কোনো অনুভূতিও আর কাজ করছেনা।
একসময় পাওনাদাররা যার যার মত টাকা নিয়ে চলে গেল। নুরা চামচা নিভে যাওয়া হুক্কায় আগুন ধরিয়ে দিল। নওয়াব আলী মনের সুখে আবার হুক্কায় টান দিল।
হঠাৎ করেই যেন চারিদিকে এক ধরনের নিরবতায় ছেয়ে গেল। চারিদিকে শুধুই বিষন্নতা।
নওয়াব আলীর হুক্কা টানার শব্দ শোনা যাচ্ছে। শিলা পাথরের মুর্তির মত বসে রয়েছে। এমন সময় ঘরের ভিতর থেকে সিয়ামের কান্নার মৃদু শব্দ ভেসে এলো। ধীরে ধীরে কান্নার গতি বাড়ছে। আলেয়া বেগম প্রাণপণ চেষ্টা করেও সে কান্না থামাতে পারছে না। শিলা উদ্ভ্রান্তের মত তাকাল ঘরের দরজার দিকে। নওয়াব আলীর হুক্কা টানার গরর গরর আওয়াজ বেড়ে গেল। তিনি অনেক জোড়ে হুক্কা টানার চেষ্টা করছেন কিন্তু ধোঁয়া বেরুচ্ছে না। সব শব্দ ছাড়িয়ে সিয়ামের কান্নার শব্দই শুধু শোনা গেল।
শিলা বুক কাঁপিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল। তারপর নিজেকে আর স্থির রাখতে পারল না। আর্ত চিৎকারে বাঁধ ভাঙা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল শিলা। কাঁদতে কাঁদতেই বলল, ‘আল্লাগো, তুমি আমার এত বড় সর্বনাশ কেন করলা? আমি কি পাপ করছি?’
শিলার কান্নায় নওয়াব আলীর মনে কোনো উনিশ বিশ হলো না। সে হুক্কা টানা বন্ধ করে উঠে পরলেন। শিলার দিকে একবার তাকিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেন।
আলেয়া বেগম সিয়াম কে বোতলে করে দুধ দিয়েছেন। ধীরে ধীরে সিয়ামের কান্নার আওয়াজ কমে আসছে। এখন শুধু শোনা যাচ্ছে তার মায়ের কান্নার আওয়াজ।
দুধ পেয়ে দুধের শিশু সিয়ামের কান্না সাময়িক ভাবে থেমে গেলেও থামল না তার মায়ের কান্না। তার মায়ের আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠল মহল্লার আকাশ বাতাস।
(সমাপ্ত!)
(প্রথম পর্বের শুরুতেই লিখেছিলাম, ঘটনাটি ২০০৮ সনের। ইতিমধ্যে দশটি বছর পেরিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত শিলা তার শিশু সন্তান সিয়ামকে ফিরে পেয়েছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে বুকের ধন বুকে ফিরে পেতে সে যে নিজেকে তিলে তিলে বিলিয়ে দিয়েছে সে ব্যাপারে কোনোই সন্দেহ নেই। নাড়ি ছেড়া ধন সন্তান বিক্রির টাকায় গৃহবধু শিলার অর্ধেক দেনা শোধ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু মাতৃত্বের অসহ্য যন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খেয়েছে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্ত। পাওনাদারের অত্যাচার-নিপীড়ন, নানামুখী হুমকি-ধামকি এবং ক্ষেত্রবিশেষে শারীরিক নির্যাতনও তাকে সহ্য করতে হয়েছে। এই ব্যাপারটা ভেবেই মনটা আবারো খারাপ হয়ে যায় বার বার।
সিয়ামের ভাগ্যেই বা কি ঘটেছে কে জানে। আলেয়া বেগম ইতোপূর্বে দত্তক নিয়ে ৩টা বাচ্চা পাঠিয়েছিল মধ্য প্রাচ্যে তার বোনের কাছে। তাদের ভাগ্যেই বা কি ঘটেছে—সে কথাও আমরা জানতে পারিনি।
সমাজের নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা আর দারিদ্রের কষাঘাতে এভাবে আর কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়–সেটাই প্রত্যাশা।
পৃথিবীর সকল অসহায় মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর হাজারো সালাম।
পাঠকদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।)
ফরহাদ হোসেন
লেখক-নির্মাতা
ডালাস,টেক্সাস