আমি খুঁজেছি স্বাধীনতা৷
জীবনের অলিতে গলিতে
অর্থহীন খিস্তি খেউড়ে
অযাচিত ভীড়ে,
কর্দমাক্ত নর্দমায়
বস্তির ঘিঞ্জি নোংরা গলিতে৷
শৌদ্রিক অনুভূতিতে বারবার বাংলা মদের দোকানে দেখেছি পড়ে থাকা জীবনের অপচয়, বৃহন্নলাদের পথ আটকে পয়সা নেবার অঙ্গভঙ্গি৷
শব্দশকটের উঠানো কাঁচের শার্সিতে গভীর শ্বাসের জলছাপ৷
হাত পেতে থাকা রক্ষকের অকারণ নজরদারী
নিঃশেষিত নদীর সাদাটে বালু৷ তপ্ত রোদে ঝরা ঘাম ফোঁটার উদ্বায়ী ধোঁয়া!
স্বাধীনতা খুঁজেছি পিতার মলিন পাঞ্জাবীর ফাঁকা পকেটে
মায়ের হলুদ ঘ্রাণের স্যাঁতস্যাঁতে আঁচলে,
নিরন্তর রাজপথে উঠে স্বাধীনতার মিছিল!
পরদিন সব ফুল মেকি
সব উচ্ছিষ্ট খাবারের বাক্সে মাছিদের আন্দোলন,
আমি খুঁজেছি স্বাধীনতা দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধার কাঁপা কাঁপা হাতের ক’টা ভাতার টাকার নোটে,
মলিন প্রায় ছেঁড়া
আর দাঁড়িয়ে থাকা লম্বা লাইনে!
আমার স্বাধীনতা আটচল্লিশ বছরের মধ্যবয়সী ভীড়,
আমার স্বাধীনতা
স্বপ্নবিলাসী মানুষের বছর ঘুরে একটি মাত্র ফানুস দিন!
-পলাশ পুরকায়স্থ