সেঁজুতি

কাল সারারাত ভাল ঘুম হয়নি সেঁজুতির। তাই একটু বেলা হয়ে গেল উঠতে। মুখ হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়েই শুনতে পেল শ্বাশুড়ি আর ননদের টিপ্পনী কথা। মা মহারানীর ঘুম ভেঙেছে! এবার শাশুড়ি বললেন তা আপনার নাস্তা কি হোটেল থেকে আনিয়ে দেব নাকি ? সেঁজুতি মাথা নিচু করে থাকে। শুধু বলল আমার শরীরটা ভাল নয় মা।
সেঁজুতি আস্তে আস্তে টের পাচ্ছে তার ভিতরে আরেকটি প্রানের অস্তিত্ব ।

শাশুড়ি এবার বেশ গলা চড়িয়ে বলেন এমন নির্লজ্জ মেয়ে আমার জন্মে দেখি নাই। কাইল আমার ছেলে আসছে তার লগে তোমারও শুইয়া থাকতে হইবো? আমার ছেলে সারাদিন খাটাখাটনি কইরা আসছে, সে তো তোমার মত শুয়ে বসে থাকে না সারাদিন। কথা শেষ হবার আগেই সেঁজুতির মাথাটা ঘুরে কেমন যেন লাগল। বাথরুম পর্যন্ত যাবার আগেই হড়হড় করে বমি করে দিল। আর তখনই শাহেদ ঘর থেকে বের হয়ে আসে। শাহেদ তাড়াতাড়ি সেঁজুতিকে ধরে বাথরুমে নিয়ে যায়। মাথায় শাহেদ পানির ছিঁটা দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে দিল। তারপর সেঁজুতি আস্তে আস্তে রুমে এসে আবার শুয়ে পড়ল।

শাহেদ এসে মাকে জানাল নতুন অতিথির আগমনের কথা। এবার তিনি খুশীতে হেসে উঠলেন। বললেন এ তো খুশীর কথা। সেই কবে বড় ছাওয়ালের বাচ্চা হইছে আইজ আবার বাচ্চার কান্না শুনব। তবে শুন বাজান এখন থাইকা বউমার সব দায়িত্ব কিন্তু আমার। আমি তার দেখাশুনা করবো । আইজই সুফিয়া বিবিরে সব জানাইতে হইব। তিনি এরপর সেঁজুতির রুমে এসেই বলেন বউমা এইবার উঠ অনেক তো হইল। তুমি এত অল্পতেই ভাইঙ্গা পড় কেন । আমি সাত বাচ্চার জন্ম দিছি। ঘরের সব কাজ সারাজীবন নিজের হাতে করছি। যাও কিছু খাইয়া তারপর আস তো তরকারী কাইটা দিয়া যাও আইজ তোমার বড় ননাস আসব বেড়াইতে ।

সেঁজুতি কোনমতে নিজেকে সামলে উঠে বসে। তাকে রুটি আর সবজি ভাজি দেয়া হয়। সেজুতির খুব ইচ্ছা হচ্ছিল ঝাল করে বেশী করে কাঁচামরিচ দিয়ে ডিম ভাজা খেতে। এবার শ্বাশুড়ি বললেন “শুন এখন থাইকা কম কম খাইবা তা না হইলে বাচ্চা পেটে বেশী বড় হইয়া যাইব । বাচ্চা ডেলিভারিতে কষ্ট হইব। আমি কিন্তু বাপু ছুরি কাঁচি দিয়া আমার নাতি বাইর করতে দিমু না।” সেঁজুতি কিছু বলার সাহস রাখেনা। সে গ্রাজুয়েশন করেছে তাই এগুলো কুসংস্কার বলতে গিয়েও বলতে পারে না। এই সংসার চলে তার কথায়। শাহেদ তার মাকে খুশী করতে তাকে দেখিয়ে অনেক খারাপ ব্যবহার পর্যন্ত করেছে এক সময়।

ডিগ্রি ফাইনাল পরীক্ষার আগে সেঁজুতির বিয়ে হয়ে যায়। সেঁজুতিরা পিঠাপিঠি চার বোন তাই বাবা মা তাকে যেন পার করতে পারলেই বাঁচে । সেঁজুতির প্রথম দেখাতেই শাহেদকে ভাল লাগে তাই সে তখন অমত করেনি। সেঁজুতিকে কি যে কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে হয়েছে সেই জানে। কলেজে যাবার আগে সবার নাস্তা রেডি করে তবেই বের হত। আর বাড়ি ফিরতে একটু উ্নিশ বিশ হলেই বিস্তর গালাগালি কপালে জুটত। একদিন শাহেদ বাসায় ফিরতেই ইশারায় বোঝায় আজ সে মাকে দেখিয়ে খারাপ আচরন করবে। তাই শাহেদ তার মায়ের সাথে গলা মিলিয়ে বকাঝকায় লেগে যেত কখনো । খুব সাদামাটা রেজাল্ট করেছিল সেঁজুতি। সে নিজেই জানে কি কষ্ট করতে হয়েছে তাকে এই পথটুকু আসতে। আর এখন সে অন্তঃসত্ত্বা তাই মাস্টার্সের কথা মুখে আনার সাহসও তার নেই।
সেঁজুতির প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল। সেঁজুতির সময় যেন আর কাটে না। শরীরে আরেকটি প্রাণ নিয়ে কম খেয়ে সংসারের কাজ করতে করতে সে হাঁফিয়ে উঠেছে । সামনের মাসে রোজা । সেঁজুতি জানে তাকে সবার সাথে রোজা থাকতে হবে।
মাঝে মাঝে শাহেদের সবকিছু কেমন ভাণ মনে হয়। সারাক্ষন একই কথা আমার মা হলেন আমার সব। বাবা মারা যাওয়ার পর কত কষ্ট করেই না তিনি মানুষ করেছেন সবাইকে। সেঁজুতি সব জানে কিন্তু তাই বলে তার সব সেকেলে ধ্যান ধ্যারনা কে মেনে নিতে হবে। সেঁজুতি জানে তার কপালে আর লেখাপড়া নেই।  বাসায় দুইটি বাচ্চাকে পড়াতে চাইছিল তাতেই শ্বাশুড়ি  তার পছন্দ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

আস্তে আস্তে দিন ক্ষন এগিয়ে আসতে লাগল । সেঁজুতি খুব অনুনয় করেও শাহেদ বা তার শ্বাশুড়িকে  রাজি করাতে পারেনি তার ডেলিভারির সময় ক্লিনিকে ভর্তি হবার কথা। শ্বাশুড়ির এক কথা আমার নিজের সন্তান ,আমার বড় বউমার সন্তান বাসায় দাইয়ের কাছে হয়েছে তাই এবারও তাই হবে। যতই দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে অজানা আশঙ্কায় সেঁজুতির ভয় লাগতে থাকে।
অবশেষে সেই দিন আসে। সুফিয়া দাইকে খবর দেয়া হয়। শুরু থেকেই প্রচণ্ড ব্যথার সাথে ব্লিডিং শুরু হয়। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর দাই বলেন এটা তার কর্ম নয়। কিন্তু তার এক কথা বাসাতেই হবে! যমের সাথে লড়াই করে সেঁজুতির একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান হয়। লম্বা সময়ের ব্লিডিং আর টানা হেঁচড়ার কারনে সেঁজুতির ইনফেকশন দেখা দেয়। ডাক্তারের কাছ থেকে গাদা গাদা এন্টিবায়টিক এনে দেয়া হয়। কিন্তু সেঁজুতি একদিন সুস্থ তো বাকি পাঁচদিন অসুস্থ থাকে। সেঁজুতির কাছে স্বামী সহবাসকে অত্যাচার মনে হয় এখন। তার কষ্ট যন্ত্রণা কোনভাবেই যেন কমে না। পাশাপাশি শ্বাশুড়ির তাবিজ ঝাড়ফুঁক চিকিৎসাও চলছিল।

সেঁজুতি বেশ বুঝতে পারে শাহেদ আর তাকে নিয়ে সুখী নয়। কারন সে বউ হিসেবে এখন আর সুস্থ নয়। তাই দিন দিন শাহেদের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে। শাহেদ এখন অফিসের পর প্রায় প্রতিদিনই দেরি করে বাসায় আসা শুরু করেছে। অসুস্থ শরীরে সেঁজুতি তার মেয়েকে ঠিকমত দেখতে পারছিল না। সেঁজুতির বাবা এক পর্যায়ে সেঁজুতিকে উনি নিজের কাছে এনে ভাল ডাক্তার দেখাতে চাইলেন। এবার শাহেদ আর তার মা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল ।

আজ প্রায় এক মাস হতে চলল সেঁজুতি তার কন্যা শ্রেয়া আছে বাবার বাড়ি মিরপুরে। না শাহেদ বা তার পরিবারের কেউ একবারের জন্যও আসেনি তাদের খোঁজ নিতে। শাহেদ মাঝে দুইবার ফোন করেছিল মাত্র। এখন সেঁজুতির মনে হয় শাহেদের সব কি তবে অভিনয় ছিল। একটা মেয়ে শরীরের সুখ দিতে না পারলে কি তার কোন মূল্য নেই? বাবা মেডিকেলে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে অবশেষে গাইনি প্রফেসরের একটা এপয়েন্টমেন্ট জোগাড় করেছে। আজ সেই দিন। শাহেদ পুরো বিষয়টা জানে! বাবা একবার এসে বলে গেলেন রেডি হয়ে নে তো মা। তারপর একটু ইতস্তত করে বললেন ইয়ে মা শাহেদ বাবাজি জানে না ? সেঁজুতির কষ্টেও হাসি পায়। বাবার দিকে তাকিয়ে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শুধু বলল ………… ‘বাবা ও আসবে না’। ডাক্তার বিভিন্ন টেস্ট করাতে বললেন।

আজ সেঁজুতি তার টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে হতবিহবল হয়ে বসে আছে। ডাক্তারের কাছে না গিয়েও সে ঠিক বুঝতে পারছে তার রিপোর্ট ভাল নয়। আজ বাবা অনেক অনুনয় বিনয় করে বলাতে শাহেদ আসতে রাজি হয়েছে। সেঁজুতির ভেবে অবাক লাগে শাহেদও তো একজন বাবা, ওর কি নিজের মেয়েকেও দেখতে ইচ্ছে করে না!

ডাক্তারের চেম্বারে সেঁজুতি আর শাহেদ বসে আছে। ডাক্তার কপাল কুঁচকে খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন এত দেরিতে এসেছেন। আর উনার কি বাসায় অদক্ষ দাইয়ের হাতে বাচ্চা ডেলিভারি করিয়েছেন? উনার ভিতরের সব পঁচে গিয়েছে। এরপর তিনি শাহেদকে আলাদা ডেকে নিয়ে গেলেন ভিতরে। সেঁজুতি জানে তার খুব শক্ত অসুখ হয়েছে হয়তো ক্যান্সার!

কিছুক্ষন পর শাহেদ মুখ কাল করে ডাক্তারের কাছ থেকে চলে এলো। বলল ,চল যাই। সারা রাস্তা কেউ কোন কথা বলল না । দুজনের সব কথা যেন শেষ হয়ে গিয়েছে।

বাসার কাছে গিয়ে শাহেদ বলল আমি তাহলে যাই। এবার সেঁজুতি খুব শীতল গলায় বলল না যাবে না তোমার সাথে আমার শেষ বোঝাপড়া আছে। শাহেদ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গেল। তার সেঁজুতির মুখোমুখি হবার মত সাহস নেই।
শাহেদ মাথা নিচু করে সেঁজুতির পিছন পিছন আসছিল। ঘরে এসে সেঁজুতি খুব স্বাভাবিক গলায় বলল চা খাবে ? তুমি ঘন দুধের চা খেতে ভালোবাসো । বাসায় গরুর দুধ ঘন করা আছে । তুমি আসবে বলে করে রেখেছি। তুমি না হয় ফ্রেশ হয়ে আস আমি চট করা চা করে আনছি,এই বলে সেজুতি ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

শাহেদ বাথরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে দুধ সর চা সাথে ঝাল মুড়ি মাখা নিয়ে সেঁজুতি বসে আছে। শাহেদ জানতে চাইল তুমি কি যেন বলবে বলছিলে? সেঁজুতি বলল এত তাড়া কেন? বলছি। তারপর টলটল চোখে শাহেদের দিকে তাকিয়ে বলল ডাক্তার কি বলেছে ? আমার কি ক্যান্সার হয়ে গিয়েছে আর বেশীদিন বাঁচবনা তাই না! শাহেদ মাথা নিচু করে থাকে। এবার সেঁজুতি বলে আমার একটা অনুরোধ আমার মেয়ে আমার মৃত্যুর পরও আমার মায়ের কাছেই থাকবে। শুধু একটা চাওয়া তুমি তার পড়াশোনার খরচটা দিও আর আমার মেয়ে যেদিন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে সেইদিন তুমি তার বিয়ে দিও তার আগে নয়।
এই মুহূর্তে শাহেদের চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। শাহেদ মাথা নিচু করে ছিল। এবার সেঁজুতি বলল আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে তুমি আমার মেয়ের সাথে এই অন্যায় কাউকে করতে দিবে না কথা দাও। শাহেদ মাথা নাড়ে। এবার সেঁজুতি খুব শক্ত কঠিন গলায় বলে আমি চাইনা তোমার মা আমার কন্যার জীবনে কোনভাবে প্রভাব বিস্তার করুক ।  সেঁজুতি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বলল তুমি চাইলে এখনই নতুন জীবন শুরু করতে পার। তারপর হাসতে হাসতে কান্নাভেজা গলায় বলল আমার মরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করলেও চলবে।

সেঁজুতির আজ শরীরটা বেশী খারাপ লাগছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে ক্যান্সারের শেষ ধাপে এখন সে, তাই বাঁচার কোন আশা নেই। সেজুতির শ্রেয়ার কথা ভেবে বার বার চোখ ভিজে যাচ্ছিল।আহা মেয়েটার বড় হওয়াটা সে দেখতে পারবে না। আচ্ছা আমার মেয়ে বড় হলে কেমন হবে দেখতে। সবাই বলে ওর চোখ নাকি তার মত। সেঁজুতির খুব ইচ্ছে করছিল জীবনের শেষ কয়টা দিন শ্রেয়া আর শাহেদকে নিয়ে দূরে কোথাও থাকতে যেখানে কোলাহল থাকবে না, কোন অশান্তি বা কলহ থাকবেনা। সেঁজুতির আজ বুকের ভিতর কি প্রচন্ড হাহাকার! তার সব না পাওয়াগুলো তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
শাহেদ তার শেষ অবস্থা জেনেও এরপর আর আসেনি। মাঝে একদিন ফোন করেছিল আর তার ভাই এসে শ্রেয়ার জন্য চার হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছে। এভাবেই তার দায়িত্ব পালন করা হয়ে গেল বুঝি! এখন সেঁজুতির বার বার মনে হয় শাহেদ তার মা ভাই বোনকে খুশী করার জন্য আগে বলে কয়েই খারাপ ব্যবহার করত ওসব আসলেই সত্যি ছিল । শাহেদ তাকে ভান করছে মুখে বললেও আসলেই তার সাথে খারাপ আচরন করত। সেঁজুতির আজ আর কয়টা দিন বাঁচার বড় বেশী সাধ জাগছে। আহা এই ছোট জীবনে মনের কোন ইচ্ছে পূরণ হয়নি। কাউকে বলাও হয়নি। যদি স্বপ্নের মত শেষ কয়টা দিন পেতো জীবনে! সেঁজুতি মাঝে মাঝে কবিতা লিখত লুকিয়ে। আজ তার নিজের লেখা একটি কবিতা বার বার মনে পড়ছে। যখন লিখেছিল তখনও জানত না আসলেই তার জীবনের খুব সামান্য চাওয়াও পূরণ হবার নয়!

এক জীবনে হয় না পূরণ সব চাওয়া
তবুও থাকে স্বপ্ন স্মৃতি হৃদয়ে পাথর
যা হয়নি কোনদিন পাওয়া।

একটা সকাল হয়না কারো ভীষণ মায়ার
পুলক অনুভূতি হাতে হাত ধরে
হয়না দেখা প্রভাত রবির কিরন
তবুও থাকে কল্পনায় অনুভবে একটু ছোঁয়া ।
একটা প্রিয়ক্ষন আসে না কখনো বাস্তবে
হয়না প্রিয় হাতটি ধরে বৃষ্টিতে ভেজা
তবুও বৃষ্টি স্নাত প্রসন্নতা কল্পনায়
না হয় মিছে খোঁজা ।
একটা শান্ত নির্জন ছায়াময় বিকেল
তুমি আর আমি কাছাকাছি
চোখে চোখ রেখে হয়না গল্প করা
তবুও থাকে সবটুকু আকুলতা।
একটা রাত আসেনা হয়ত কোনদিন
প্রিয় তোমায় নিয়ে পূর্ণিমায় জোৎস্না মাখা
তবুও থাকে ঐ ক্ষণটির জন্য ব্যাকুলতা।
একটা দিনের প্রাপ্তিও জোটে না
জীবনের স্বাদ হয়ত মেটেনা
আশা নিরাশাও পিছু ছাড়ে না
জীবন প্রদীপ জ্বলে মিটিমিটি
শুধুই বয়ে চলা
অপ্রাপ্তির দোলায় ভেসে যাওয়া ।।

আজ আবার শাহেদ একই ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে বসে আছে সেঁজুতিদের বাড়ি। সেঁজুতিকে আজ গোসল করিয়ে সাজানো হচ্ছে অন্তিমযাত্রার জন্য। সেঁজুতির মেয়েটি তার নানির কোলে বসে অবাক হয়ে ঘুমন্ত মাকে দেখছে।
আবার হয়তো সানাই বাজবে। আবার শাহেদ তার জীবন নতুন করে শুরু করবে শুধু সেঁজুতি তার জীবনের সব অপ্রাপ্তি আর কষ্ট নিয়ে পরপারে চলে যাচ্ছে। কিছু মানুষের অবহেলায় কিছু প্রান বলি হয় যার বিচার এই জীবনে না হলেও পরপারে হয়তো হবে।

-হালিমা রিমা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *