সাধারণ এক আমি (কবিতা)

অনামিকা শোনো,

শোনো…..
সেদিন আমি মেঘের পর মেঘ,
থমথম চারিধার।
আষাঢ়ের বিদায়ী সুরে
খু্ঁজি কদম ফুলে
ভালবাসার নিবিড় আঁধার।
ঝিলের জলে শাপলা
মনে জমেছে শ্যাওলা
আমি আবারো একেলা।
ফুরিয়ে যাওয়া গল্পের আবেশ
আমার ভেতরে এক আমি
বনবাসে নিরুদ্দেশ।
রোয়া রোয়া বিষ তুলে
ধুতুরা মাতাল মনে
পরবাসী মন খোঁজে
ঠিকানার বাকী রেশ।

অনামিকা শোনো…
মেঘ চাতালে ঝরে
জল হই অবশেষে।
দলছুট মেঘের আদলে
বাতাসের গতিপথে
হারাই আবার বেলাশেষে।

ওখানে তুমি ছিলে…
ছিলে মন পাটাতনে,
খোলা জানালার উদোম শরীরে
এক ফালি আকাশ
জড়ো করে মেঘ
ভীষণ অভিসারে।

ওখানে আমিও ছিলাম নিভৃতে….
মাধবীলতা পেঁচানো অবয়বে,
টাপুরটুপুর ছন্দের বিতানে
মন হারানো আকুল হাহাকারে।

দূর্বাঘাসে শিশিরজল
নাকি মেঘ ধোয়া জল
একই রঙ অবিকল!
জলের রঙে আঁকা ভালবাসা
স্মৃতিপথে ঘন কুয়াশা…
যায় না কিছুই দেখা!
জানালার শার্সিতে ধোঁয়াশা রেখা
স্নানঘরে নোনাজল বাষ্প ভেজা
অচিন পথ খোঁজে মন তুমুল আলোড়নে।

অনামিকা….
আমি জলের মত জল
শুধু ভালবাসা ছল।
শোনো….
আমি সেইজন
যার চোখেতে তোমার মরণ।
আহা…
ভালবাসো!
নেই তো বারণ!
নাই বা থাক
ভালবাসার নিগূঢ় সে কারণ!
কেন অযথা খুঁজে ফেরো
কোন ভুলেতে এমন মরণ!
শোনো অনামিকা….
ভালবাসার জন্য বাজী রেখেছি জীবন।
বিশ্বাস না হয়….
ভালবেসেই দেখো,
সাধারণ এই আমি কতটা অসাধারণ!

 

-ফারহানা নীলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *