শ্রাবণের অঝোর ধারা পড়ুক ঝরে

হিম সন্ধ্যায় অঝোর বর্ষায়
ভেজা ক্ষণ
চেয়ে দেখো তুমিহীন কতটা মেঘলা,
কতটা উদাসীন এ মন।

আজ মনের নীরবতায়
কিছু না বলা কথার আমন্ত্রণ,
বুকের শূন্যতায়
কিছু লুকানো ব্যথার নিমন্ত্রণ।

এই বিষণ্ণ শহরে,
হৃদয়ের কবরে বোবা কান্নার নিষ্ঠুরতা,
আমায় ঘিরে খেলা করে
পুরনো গল্পের মুখরতা।

ঘুণে ধরা কার্নিশে
ভেজা চোখের বিষণ্ণতা,
দেখো অ্যাশট্রেতে পুড়ছে
কত না বলা কথা।

নীরব উঠোনে
অবাধ্য বাতাসের হাহাকার,
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুকের জমিন,
হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস।

চেয়ে দেখো একবার
এ দেহ, তোমার অসুখে
কতটা কাতর কতটা অসহায়।
অনুভবে ছুঁয়ে দেখো এ মন,
দুঃসহ মেঘমালা
কতটা কাঁদায় আমায়।

এই অগোছালো মন,
জীর্ণ জীবন
ক্লান্ত চায়ের কাপে দহন
সর্বক্ষণ আপন ঘরেই
যেন সহস্র বর্ষ নির্বাসন।

ফেলে আসা দিনগুলো
জোনাকির প্রদীপ হয়ে
জ্বলে আর নেভে,
নিদারুণ কিছু ব্যথা
হয় নিজে নিজে!
কী হারিয়েছে,
সে কারে খোঁজে?
বাদলের গান, মেঘের অভিমান
কেউ কি তা বোঝে?

ভগ্ন-ব্যথিত অকালসন্ধ্যায়
রিক্ত স্নায়ু শাখায় শাখায়
এভাবেই দিন চলে যাক,
রাত চলে যাক দির্ণী জীবন
শেষ হয়ে যাক তোমার প্রতীক্ষায়।

আজ এই শ্রাবণ দিনে,
বিরহের অঝোর ধারা পড়ুক ঝরে
আমার বুকের কোণে ,
দুঃখের সুরে।

পড়ুক ঝরে নির্দ্বিধায়
আমার চোখের জলে কান্না হয়ে,
হৃদয় মাঝে সকাল সাঁঝে,
আমার শব্দে আর কবিতায় ।

পিয়া খান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *