মায়া

তুমি তো কখনো হারিয়ে যাওনি এই চেনা চেনা গায়ের ঘ্রাণ এড়িয়ে, অথচ আমার
কোথাও অযুত শূন্যতার মতো এখনো তুমি লেগে আছো,
দু হাতে অসংখ্য শীতার্ত জোছনা বন্দি।

যে আততায়ী মায়া অদৃশ্য গ্রহের মতো বধীর,
প্রণয়ের অবরুদ্ধ প্রলাপে আমিও তো ভাসিনি বিরুদ্ধ স্রোতের মতো, রূপকথা
হয়ে আছে আজও জন্মান্ধ সব শব্দ, নীরবতারাও আবছায়ায় সরব।

তবুও ফিকে হয়নি কিছু-
এই নিষাদ দিনের ক্ষত, একফালি অবসাদ, ম্লান হয়ে আসা দিনের আলো, এখনো
তারা আলোর ডাকে আঁধারে হারায়, নতুন নামকরণে হয় অতীত।

গল্পেরা আমার কাছে ছিল না, পুরোহিত ধূপগুলো ধোঁয়ার মতো ঢেকে দিয়েছিল আমাকে,
আমি তাদের আর কিছু বলিনি,
কিছু বলার ছিল না, ধীরে মিলিয়ে গিয়েছি শুধু।

শূন্যতার কোনো সংজ্ঞার্থ হয় না, কৃত্রিম মানুষের মতো নিজের অবয়বে
অচেনার ভিড়। পরিচ্ছন্ন শ্যাওলা রোদে যাযাবর দেয়ালিকায় অ-নতুন কবিতার
প্রতিচ্ছবি, মানুষ অপূর্ণতায় পূর্ণ পুরোপুরি।

শেষবার মুখোমুখি হইনি নির্লিপ্ততার- ভয় ছিল, তবে পরাজিত সৈনিকের মতো
কঠিন দুচোখে কোনো প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল না। হারিয়ে গিয়ে জেনেছি অদৃশ্য
কোনো শেকল জড়িয়ে রাখেনি আমাকে।

সেদিন বিষণ্ন বসন্ত ছিল, অনেক হারিয়ে ফেলার শুরু যেদিন থেকে। জমে থাকা
ছায়ায় গোলাপের ক্ষত দেখছিলাম মায়ার মতো, এই মায়ায় কেউ থাকেনি- আমিও না, তুমিও না…

ইফতি হাবিব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *