বিচিত্র জীবন


তীর ঘেঁষা তরু মাথা নাড়ায়ে কয়,
“ও হে নদী, স্রোত জলধি , কত কি সুন্দর
দেখো এপার ওপার ছুঁয়ে, বৈচিত্র আমা কোথা
শুধু হাওয়ায় পত্র পড়ে নুয়ে।
সাল যত যায় ধেয়ে আমি সটান ঠাঁয়,
শব্দ হীন , একাকী কেবলই শাখা ঝাঁপরাই।
নদী কহে,” বন্ধু ও রে, শোনো তুমি চিন্তা মুক্ত।
যখন থাকি নির্মল তখন সকল প্রিয়,
যদি বা কর্দমাক্ত তবে দুর্গন্ধ ম্রিয়।
তুমি যদি চাও একদিন তোমারে লয়ে সাথে,
উর্ধ্ব শ্বাসে চলব ছুটে বিচিত্র দেখানো নাতে।
কিন্তু ফেরা হবে না আর এ গতি এক মুখি,
শেষে গিয়ে যাব মিশে সাগরে, হয়ে নাকো দুখী।
নোনা জলে হারাবো আমি , তোমার দেহ খসে হবে শুঁকি।
যদি হও রাজি কেবল তখনই দিব ডাক বানে,
সে ডাকে তুমি আমি ভেসে যাব দুজনে।”
তরু ভয়ার্ত কণ্ঠে কয় ,” শিকড়ে রবে না মাটি।
এ তো উচ্ছেদ হয়। যে মাটিতে জন্ম , সে মাটিতে চিহ্ন নাই,
সেই তো মৃতু তয়।
না না মোর বিচিত্রা নাহি চাই, এ জীবনই , এই একাকী ঠাঁই,
মোর লাগি এই অর্থময়।
যাও নদী ত্বরা যাও , স্রোতেই তোমার জয়।”

-গিনি ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *