প্রিয়তমেষু অধরা ,
চাঁদের বুক জুড়ে গাঢ় অন্ধকার পেরিয়ে
অবশেষে তোমাকে পেলাম।
তারায় আলোয় রাঙ্গিয়ে তুমি আমার একান্ত আমার হয়ে গেলে।
অথচ কত বিনিদ্র রাতের তপস্যায় তুমি ছিলে,
হৃদয় তোলপাড় করা ভালোবাসার হাহাকারে
এবং কত বিষাদময় কবিতার পরতে পরতে তুমি ছিলে।
ক্ষণিকের ছায়া প্রচ্ছায়া উপচ্ছায়া গ্রাস হতে যাওয়া,
মাটির এই কায়া ছেড়ে, অদৃশ্য দেয়াল ডিঙ্গিয়ে
তুমি কত অপেক্ষার প্রহর শেষে বলে দিলে
এই ভীষণ ভালোবাসি তোমায় !
প্রিয়তমেষু অধরা ,
এখন তোমার আমার প্রতিটি প্রহর কাটে অফুরন্ত ভালোবাসায় !
অশান্ত সমুদ্রের গর্জনে, জোয়ার ভাটার সাথে
তোমার আমার প্রেমের স্ফুলিঙ্গ ওঠে নামে
রাত বিরাতে কথায় কথায় মুখরিত থাকি তুমি আমি
অজস্র ভালোবাসায় !
হঠাৎ মান অভিমানে বিবর্ণ হয় যদিও মন
সব ভুলে ক্ষণিকেই উষ্ণ আদরে ভালোবেসে ভাসাই
অতল সাগরে !!
প্রিয়তমেষু অধরা !
এখন আমি কল্পনায় তোমার শরীরের প্রতিটি কোষে কোষে গিয়ে বিছানা পাতি,
তোমাকে স্বপ্নে এসে জ্বালাই, পোড়াই শীতল করি
আবার বৃষ্টি হয়ে তোমার শরীরের বিন্দু হয়ে ঝরে পড়ি।
আনমনে ঠোঁট গুজে দেই তোমার ঠোঁটে
ঠোঁটের আড়ষ্টতায় শব্দ, শব্দের আড়ষ্টতায় ঠোঁট!
ঠিক সেই খানে, খুঁজে পেলে জীবনের অন্য কোন মানে
ভালোবাসার অন্য কোন মানে ।
অসভ্য হয়ে যায় ক্ষণিকের জন্য আমার হাত !!
প্রিয়তমেষু অধরা !
তোমার সাথে যখন নিবিড় ভাবে কথা হয়
তুমি কি জানো !
প্রেমের আগুনে তুমি জ্বলো, আমি জ্বলি আর আমাদের প্রেম দেখে হিংসায় শুকতারাও জ্বলে
আমার বুকের পশম ছুঁয়ে তুমি শুয়ে শুয়ে শুকতারা দেখবে,
আমার অসভ্য হাত আলতো ছুঁয়ে যাবে তোমার অধর, ললাট আর চিবুক
এই মেয়ে বুঝো কি তুমি
তোমার মতো আমিও ভীষণ ভালোবাসি তোমায়।
-নিলয় আহমেদ