ধর্ষক

কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটার মুখটা ঢেকে দেওয়া হলো চটের একটা ব্যাগ দিয়ে৷ তারপর বাসের সিটের উপরের দিকের হ্যান্ডেলে ঠুকে দেওয়া হল তার মাথাটা৷ অজ্ঞান হবার পূর্বে মেয়েটা যন্ত্রণা সূচক একটা শব্দও করতে পারেনি৷ যে দু’চারজন যাত্রী সামনে ছিল তারা বুঝতেই পারেনি পেছনে কি ঘটেছে৷ যাত্রীরা নেমে গেলে বাসটা একটানে সামনে নির্জন একটা জায়গায় থামানো হল৷ মেয়েটা নড়ে উঠেছে দেখে হেল্পার আবার ওর মাথাটা ঠুকে দিল৷ এসব কাজে নীরবতা কাম্য৷ চেহারা দেখে কি হবে! যেখানে হাউস মেটানোটাই মূখ্য৷ হেল্পার এর পূর্বেও একাজ করেছে দু’বার৷ সে তার ওস্তাদ আর তাদের সাথে আরেকজন লোক আছে৷ লোকটা পতিতা পল্লী যেতে যেতে হাপিয়ে উঠেছে৷ তার এখন নতুন জিনিস চাই৷ পাট ভাঙা শাড়ির মতোন নতুন জিনিস৷ বাজারের ঘরের মেয়েগুলার শরীরের ঘ্রাণ সব এক৷ ঘরের ভেতরে ভেজা গন্ধ মাখা তোষক চিটচিটে বালিশ সস্তা মেকাপ আর মদের গন্ধ মিলে যেটা সৃষ্টি হয় সেটা এখন আর ভাল লাগে না৷ বমি চলে আসে৷ প্রথম প্রথম হাউসের ঠেলায় এই গন্ধ নাকে আসত না৷ এখন আসে৷ নাঁড়িভূঁড়ি উল্টে আসতে চায়৷ এরচেয়ে এই ভালো দু’টাকার সিগারেট দশটা টানার চেয়ে তিনটা বেনসানের স্বাদই আলাদা৷ কখনও বেনসন না জুটলে তখন অবশ্য দু’টাকার সিগারেটই ভালো ওদের কাছে৷
হেল্পার ফোন করল৷ ভাইজান আসেন৷ জিনিস রেডি! ডবকা মাল৷ লাইন কেটে দেওয়া হয়৷ লোকটা ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত বোধ করে৷ জিব দিয়ে ঠোঁট চাটে৷ ভেতরে ভেতরে ঘেমে যায় উত্তেজনায়৷
লোকটা নির্দিষ্ট জায়গায় যেয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়৷ এসব কাজে ডিস্টার্ব হোক সে চায় না৷ ওরা কেউ ই চায় না!
লোকটা হেল্পার কে বলে “তগোরে টেকা দেই আমি আর আইজকা আমার আগেই কাম কইরালছস!”
হেল্পার বলে আপনে দেরি করলেন আইতে! ওস্তাদ আর আমি..খিক খিক করে হাসে হেল্পারটা৷
লোকটা বলে “মুখেত্থুন বস্তাটা সরা৷”
হেল্পার আবার খিক খিক করে হাসে৷ বলে “কাম হবে…উপরে দা বস্তা সরায়ে কিকরতাইন!”
লোকটা ঘেমে নেয়ে উঠেছে৷ আসলেই খাসা৷ এলিয়ে পড়ে আছে ওটা৷ শরীরে কাপড় নাই৷ হাত পা টান করে চারটে সিটের পায়ার সাথে বাঁধা৷ খাসা….
লোকটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷
একটু পর বলে “ধুর হালায় এইডা তো মইরা গেছে! শালার হেল্পার! বান….ত! বাসী মাল আমারে গছাও! শালা৷”
ওস্তাদ বলে “আইচ্ছা বাদ দেও৷ পরে দেহুমনে৷ তুমারেই আগে চান্স দিমুওনে।”
ওরা তিনজন খিকখিক করে হাসে৷ অশ্লিল হাসি৷ মেয়েটার মৃতদেহ রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে দেয়৷ চেহারাটা দেখারও প্রয়োজন বোধ করে না৷

লোকটা তার ফোন চালু করতে ভুলে যায়৷ গভীর রাতে বাড়ী ফিরে দেখে ওর স্ত্রী কান্নাকাটি করছে৷ পাড়া প্রতিবেশি সবাই ওর বাড়ীতে৷ লোকটা শোনে দুপুরের দিকে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে৷ সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে৷ এখনও ফিরে আসেনি!!!!!!

-পলাশ পুরকায়স্থ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *