ক্ষরা আর ক্ষত

কতবারই তো বলেছি
কতভাবেই তো বুঝিয়েছি —
মেঘেদের আনাগোনা মানেই তো নয়,
পেয়েছি সেই ঠিকানা!
শুনশান মনে উতল হাওয়া যদি আসে
যদি মন খারাপের মেঘ খোঁজে ঘর,
রোদ্দুরের বুক চিড়ে ব্যথার ঘন কুয়াশা
ঢেকে নেয় তোমার আমার যুগল পথ।
পথ ভেবে কত পথই তো হেঁটেছি
নিয়তির সিঁথিপথে রাঙিয়ে রক্তজবা।
চোখের কুঠুরিতে চড়ুইয়ের নাচ,
টেনে আনে গুচ্ছ বেদনার খড়কুটো
ঘর পালানো মন কেবলই তখন
আঁকে উঠোন জুড়ে আষাঢ়ের আলপনা!
নীল খামে আসে মেঘেদের চিঠি
ডাকপিওনের ভীষণ দেমাগ,
ইমন কল্যানে বাজে বিষাদ,সকরুণ সুর,
আর আমি বারবার বলি–
এসো না এমন মেঘ,
ঝরো না বাদল।
তাঁতানো রোদ্দুর আর উজান বাতাস
নিয়ে যায় মেঘ বহুদূর–
চলে যায় মেঘ বন পাহাড়ের দেশে
উড়ে যায় মন, মাতাল হাওয়া মনে,
মন খারাপের রেলগাড়ীটা হঠাৎ থামে!

কতবার আমি শাসিয়েছি মন
কত কতবার এসেছি নিভৃতে
— মেঘের মতন ওড়ে তবু মন
অকারণ খোঁজে তোমার আকাশ!
কুয়াশার মত কাঁদে দিনরাত
উষ্ণতাটুকু আঁচলে বাঁধা, রুনুরঝুনুর বাজে মন।

বারবার বলা মিথ্যটা,সত্যের মত লাগে–
ভাল আছি,বড় ভাল আছি,
তুমিহীন এই শ্যাওলা সবুজ জলাভূমে।
ভিজে মনে বলেছি তো আমি
আষাঢ় শ্রাবণ নয়, নয় কুয়াশার ঘের
ভীষন রোদে পুড়েছে এ মন
ক্ষরা আর ক্ষত শুকিয়েছে অবিকল
নিজেরই মত!

-ফারহানা নীলা


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *