কি এক অস্পষ্ট, অসহ্য যন্ত্রণা বয়ে বেড়াই বুকের ভেতর
স্থীর হয়ে বসতে দেয় না সে আমাকে
মনের স্বস্তি উড়ে গেছে কবে সে আমাকে ছেড়ে- আমি তার পাইনা ঠাহর।
এখান থেকে ওখানে, দেশে এবং বিদেশে
মেসোপটোমিয়ায় কিংবা সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন জনপদে।
দিকভ্রান্ত মানুষের ভিড়ে ভিড়ে
আমি হেঁটে বেড়াই একাকী- ক্লান্ত প্রাণ।
নীড়ের ঠিকানা বিহীন আহত পাখির মতো উড়তে থাকি আমি
কোথাও স্বস্তি নেই- কোথাও শান্তি নেই।
সিরিয়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা আমার প্রাণের বাংলায়
মৃত্যুর মিছিলে মিছিলে ঘুরে বেড়াই আমি একা।
আমার কোনো বন্ধু নেই- কোনো সখা নেই
নেই কোনো প্রাণের স্বজন।
বিস্তীর্ন মানুষের জঙ্গলে আমি একা।
প্রেম নেই, মমতা নেই
ক্ষমতা আছে- দম্ভ আছে, মন্দ আছে- দ্বন্দ্ব আছে
অথচ মনুষত্ব কোথাও নেই।
আমি যেন কেউ নই- আমি যেন কারো নই।
গুলি খাওয়া হরিণের মতো
ছুটে বেড়াই উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু।
ছুটে বেড়াই আর দেখি-
কি অমোঘ মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে বিপন্ন প্রেম ও প্রকৃতি।
মায়া ভরা কোনো চোখ নেই- যে বুলাবে পরম পরশ।
ক্ষুধা আছে- দারিদ্র আছে
আছে বুলেট- আনবিক বোমার হুংকার
আর প্রতিটি রাষ্ট্রের পেটের ভেতর নাড়ির মতো পেঁচিয়ে আছে ষড়যন্ত্র।
আমি জানি না বেঁচে আছি নাকি বেঁচে নেই
ঘোরগ্রস্ত এক আহত প্রাণ নিয়ে শুধু হেঁটে বেড়াই দিক থেকে দিগন্তে ।
কোথাও কোনো মানুষ যেন নেই, কোথাও কোনো প্রেম নেই
অস্পষ্ট ,অসহ্য ,সুতীব্র এক যন্ত্রণা বুকের ভেতর নিয়ে,
আমি কেবল হেঁটে বেড়াই বড়ালের তীরে
এক প্রান্তবিহীন স্বস্তিবিহীন অসীম তিমিরে।
পাণ্ডুলিপির কবিতা: ‘তোমার পায়ের নখে এত চাঁদ কেন’ থেকে ।
-রবিউল করিম মৃদুল