মানুষটা মদ খাইয়া ফিরলে কোন হুঁশ থাহে না। বাঘের লাহান আঁচড়াইয়া কামড়াইয়া খুবলাইয়া খাইয়া ফেলাইতে চায়। আইজ শরীরের ব্যথায় নুরজানের বিছানা থাইকা উঠাই বড় দায়। কোনমতে কষ্ট কইরা বিছানা ছাইড়া কল তলায় গিয়া গতরে পানি ঢালতেই শরীরটা জ্বলতে লাগলো। নুরজানের কাইল রাইতের কথা মনে হইয়া কষ্টে চোখে পানি আইল। বিয়ার আগে কত্ত স্বপন আছিল । স্বামীরা নাকি কত্ত সোহাগ করে, ভালোবাসার মিঠা কথা কইয়া বুকেতে লইয়া কত্ত আদরই না করে! কিন্ত বিয়ার পরথম দিন থাইকাই মানুষটা নেশা কইরা নুরজান রে খালি খুবলাইয়ে খুবলাইয়ে খায়। ঠোটের ব্যাথায় নুরজানের মাথাটা এহনও চক্কর দিতাছে। আকাশ কুসুম ভাবতে ভাবতে মানুষটার চিৎকারে নুরজান তাড়াতাড়ি বের হইয়া চুলায় ভাত চাপায়। তরকারি কাইটা সালুন বসাইয়া শুনতে পায় আবার চিৎকার …….‘মাগি তর রানতে কত সময় লাগে রে।’ নুরজান ভয়ে ভয়ে চুলার আঁচ বাড়াইয়া দেয়। ভাত, সালুন নিয়া ঘরে গিয়া খাওন দেয় । খাইতে খাইতে মানুষটা কয় ‘তর রান্ধন বালা রে’। নুরজানের খুশিতে চোখে পানি চইলা আসে। আহা! মানুষটা সারাদিন কত্ত খাটাখাটনি করে। ব্যাডা মানুষ তো নেশা কইরবই।
নুরজানরে বিয়ার পর থাইকা মানুষটা কি বড়ি আইনা দিছে কইছে প্রত্যেকদিন খাইবি । নুরজান ভাইব্বা পায় না মানুষটা কেন বড়ি খাওয়ায় তারে। একদিন জিগাইছিল মানুষটা কইল ভাইটামিন। কইল ‘তর গতরে কোন মাংস নাই তরে লইয়া সুক পাই ন্যা।’ ছোড কাল থাইকা নুরজানের লম্বা চুল দেইখা সবাই কত্ত সুন্দর কইত। ছিপছিপে শরীরে মাথায় তেল দিয়ি লম্বা বেণী কইরা কানে জবা ফুল দিয়া যহন কাঙ্খে কলসি লইয়া পানি আনতে ঘাটে যাইত হক্কলে চাইয়া থাকত ওর দিকে। এমনি একদিন ঘাটে দেইখা মানুষটা পাগল হইয়া বিয়ার কতা খান মা রে কইল। বাপজান নাই তাই কোন দেনা পাওনা নাই, কোন চাওন নাই তিনকুলে যার কেউ নাই এমুন বালা পোলা পাইয়া মায়ে কতইনা খুশী হইছিল। আইজ একটা বচ্ছর পার হইল মায়ের লগে দেহা নাই। একদিন কইছিল দেইখা মানুষটা কি মাইরটাই না মারছিল। এমুন রাগ যে তহন উনি মানুষ থাহেন না। মাথার চুল ডি এহন আর আগের মতন নাই। কতায় কতায় চুলের মুঠি ধইরা মারে। মানুষটা সোহাগ কালেও চুল ধইরা টানে। এত পাষাণ,হের কোন মায়া মহব্বত বইলা কিচ্ছু নাইকা।
পাশের ঘরে জামিলা খালা থাহে। মাঝে মধ্যে খালার লগে কতা কয়। নানান কতা। খালায় মাইনষের বাসা বাড়িত কাম কইরা নাহি ৬০০০ টাক্যা মাস গেলে পায় । নুরজান ভাবে হারাদিন একলা থাহে আইজ মানুষটা ফিরলে কতাহান কইয়া দেখবো। আইজ বেশী যতন কইরা সালুন রানলো । বস্তির পাশের ডোবা থন কয়ডা কচুর লতি তুইলা মশলা দিয়া কসাইয়া ভাজা ভাজা কইরা নামাইল। মানুষটা লতির সালুন খাইতে বড়ই সুয়াদ পায়। রাইতে কতাহান কইতেই মানুষটা রাগ না কইরা হাসতে লাগল। কইল ‘আমার মাইয়া মানুষ হইয়া তুই মাইনষের বাড়িত কাম করবি ক্যান?’ তর লাইগা আমি আরও ভালা কামের ব্যবস্হা করতাছি।’ নুরজান রাইতে শুইয়া স্বপন দ্যাখে কাম কইরা মায়ের লাইগা নয়া শাড়ি কিনছে মায়ে পিন্দা খুশীতে নুরজানরে বুকে লইয়া আদর করতাছে আর কানদন লাগছে । ঘুম ভাইঙ্গাই মনডা খুশীতে ভইরা গেল। হউক স্বপন তাওতো মায়েরে দেখতে পারছে। যাইক মানুষটা অত খারাপ না। নাইলে কি আর কাম যোগাড় কইরা দিতে চায়।
নুরজান খুশীতে খালারে কতাহান কইতে গেল। খালায় কইল ‘হাচা কইছস! মালেকের কতাত বিশ্বাস কইরবার লাগছস? হুন মালেকের স্বভাব বালা না। তরে বিয়া করনের আগে মাইয়্যা মানুষ ঘরে আনত। নিত্য নতুন মাইয়া মানুষ ! গাড়ির হেল্পারি কইরা যা কামাই করে তা তু হ্যাঁগো পিছেই ঢালে। তারচাইতে কইকি …ছাওয়ালের মা হও দ্যাখো স্বভাব বদলাইতেও পারে।’ নুরজানের মনডা খারাপ হইয়া যায় । মানুষটার এত বদদোষ আছে! খালায় জিগায় বৌ তুমি কি বড়ি খাও নি ? খালা আমি তো ভাইটামিন খাই। মানুষটা কইছে আমার গতরে মাংস লাগবো । খালায় হাইসা কুল পায় না। দূর পাগলী ইডা তো বাচ্ছা না হওনের বড়ি । তয় যে মানুষটা কইল? আইজ আইলে জিগাবি ওর মতলবকান বুঝবার চেষ্টা করবি।
আইজ মানুষটারে ঠিক জিগাইব ক্যান মিছা কতা কইল। রাইতে নুরজান কইল হুনচেনই …কি কবি ক? আফনে আমারে বড়ি দিছেন ছাওয়াল না হওয়ার লাগি আফনে ছাওয়ালের বাপ হইবার চান না? আইজ ক্ষেইপা গিয়াও নুরজানের দিকে চাইয়া কইল আরে আমুদ ফুরতি কইরা লই পরে দেহা যাইব। আমারে কামে দিবেন কবে? এইবার নুরজানের চুলের মুঠি ধইরা দিল এক কিল…রাগে হিস হিস করতে করতে কইল ‘মাগি তরে তাড়াতাড়ি কামে লাগাইয়া দিমু। ভাবছিলাম আর কয়দিন পর ……।
নুরজানের কষ্টে বুকটা ফাইটা যায় । বাপজান বাইচা থাকতে কত সুখের দিন আছিল। বাপজান গঞ্জে থাইকা নয়া চুড়ি আইনা দিত। বাতাসা জিলাপি আইনা দিত। বাপজান আদর কইরা কইত ‘ আমার চান্দের লাহান মাইয়া ওরে আমি রাজপুত্তুর দেইখা বিয়া দিমু।’ তহন শাক দিয়া ভাত খাইলেও কত সুখের দিন আছিল। বাপজান একদিন ক্ষেতে থাইকা আইসা কইল বুকে ব্যাতা তারপর রাইতের মধ্যেই সব শেষ হইয়া গেল। আ…আহা রে জীবনডা কেন এমুন অইল? মায়ে যে কি করে কিচ্ছু জানতে পারে না এহন। মায়েরে কতকাল ধইরা যে দেহি না। নুরজানের চোখে আইজ যেন বান ডাকছে……………।
খালার ডাকে নুরজানের হুশ ফিরা আইল। খালায় কইল নুরজান গেরামের থন মজিদ আইছে খবর জানোস নি ? মালেক তো ফোন পাইছিল তোরে কিছু কয় নাই। কি অইছে খালা আমারে খুইলা কন? তোর মায়ের ব্যামু অইছিল। তোরে দেহার লাগি মালেক রে মোবাইল করছিল গত হপ্তায়। এহন সব শেষ রে নুরজান। নুরজানের মাথায় যেন বাজ পড়ল । খালারে কইল আমারে নিয়া যান আমি মায়েরে শেষবার দেহুম গো খালা ……… শেষবার দেহুম । নুরজানের বুকফাটা আর্তনাতে বস্তির আশেপাশের সব যেন সাক্ষী হইল শুধু মালেকের কানে পৌঁছাইল না……………।
খালার সাথে নুরজান গেরামের পথে রওয়ানা হইল। মায়ের লাশ খান বুকে নিয়া নুরজানের গগনবিদারী চিৎকারে গেরামের আকাশ, বাতা্স, গাছপালা , পাখি সব যেন পাথর হইয়া গেল। রাগে দুঃখে নুরজান ভাবতে লাগলো মালেকের লগে আর থাকুম না…………… কোনভাবেই এই খারাপ মানুষটার লগে আর না। পরেরদিন ঠিক বিহান বেলাতেই মালেক আইসা হাজির। আইসা গেরামের মানুষরে দেহাইয়া কি কান্দনডাই না কানলো । নুরজান ফিরাও দেখল না। হঠাৎ কইরা গেরামের সবার সামনে নুরজানের পা ধইরা কইতে লাগলো ‘বউ আমারে মাফ কইরা দে আমি বুঝবার পারি নাই। চল ফিরা চল। তর লাইগা কাম ঠিক করছি তুই আমার ঘরের লক্ষ্মী তরে না নিয়া আমি যামুনা’। এই পরথম নুরজানের লগে মানুষটা মিঠা সুরে ভালো কইরা কতা কইল। গেরামের মানুষে নুরজান রে রাইখ্যা মালেক রে সান্ত্বনা দেয়া শুরু করল। সবাই বাহবা দিতে লাগল………আহা বেচারা বউরে কি ভালোই না বাসে। তা না হইলে ব্যাডা মানুষ কোনদিন মাইয়া মানুষের কাছে মাফ চায় নি? নুরজান কিছু কইবার আগেই সব্বাই কইল ‘যাইব না ক্যা ? মাইয়া মানুষের জায়গা সোয়ামির পায়ের তলে। যা হইছে মিটাইয়া যাওগা। মা কারো চিরকাল থাহে না’।
বস্তিতে ফিরা নুরজান কোন কতা কইলনা। মানুষটা কইল ‘আইজ আমি আসার সময় খাওন নিয়া আমু তোর আইজ কষ্ট কইরা চুলার পারে যাওন লাগবো না । শুইয়া থাক’। রাইতে ফিরা নুরজানের হাতে দুইটা বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়া কইল ‘আয় একলগে বইয়া খাই’। থালা বাসন ধুইয়া আনতে আনতে নুরজান ভাবল মানুষটা কি হাছাই বদলাইয়া গেল। খাইতে বইয়া বড় মাংসের টুকরা নুরজানের পাতে তুইলা দিয়া কইল… ‘খা সুয়াদ কইরা খা’। নুরজানের চোখ পানিতে ভইরা গেল। মানুষটা চোখের পানি মুইছা দিয়া মাথায় হাত রাইখা আদর করলো । নুরজানের চোখের পানি আইজ আনন্দাশ্রু হইয়া ঝরতে লাগল । খাওয়া শেষ হওনের পর একটা প্যাকেট দিয়া কইল ‘দেখ তো শাড়িডা তোর মনে ধরে নাকি। কাইল ভালো কইরা সাইজা গুইজা থাহিস। তোরে লইয়া বেড়াইতে যামু’।
নুরজানের আইজ মনে অনেক ফুর্তি । মানুষটা খারাপ না। অনেক যতন কইরা নুরজান সাজতে বইল। চোখে কাজল দিল। মাথায় সুবাসি তেল দিয়া খোঁপা করল। শাড়িটা পইড়া নুরজান নিজেই নিজের দিক থাইকা চোখ সরাইতে পারে না। কি সুন্দর ই না লাগতাছে আইজ তারে। মালেক আইসা দেইখা কইল তোরে তো পরী লাগতাছে রে বউ। চল বাইর হই। রিকশাতে বইয়া জিগাইল আমরা কোনে যাই ? মানুষটা কইল আমার খালার বাড়ি, চল গেলেই দেখবি।
নুরজান খালার বাসায় ঢুকতেই বদ গন্ধ পাইল। খালায় নুরজান রে দেইখাই কই…… ‘মাল তো খাসা রে। খালি গতরে আর একটু মাংস থাকলে ভাল হইত। শুন ৫০ এর বেশী কিন্ত পাবি না’। নুরজান কিছুই বুঝল না। খালা ভিতরে গেলে কইল কি কয় খালা কিসের ৫০? মানুষটা কইল ‘বুঝবিনা……… থাম তো’।
ভিতর থাইকা খালার ডাকে এক মাইয়া আইসা কোক আর মিষ্টি দিয়া গেল। খালা কইল খা বেশী কইরা না খাইলে গতর খাটাইবি ক্যামনে । নুরজান নাস্তা খাইল। খাইতে খাইতে মনে হইল কতকাল নুরজান যেন ঘুমায় না ……………নুরজানের দুই চোখ ভাইঙ্গা জন্মের ঘুম আইল।
ঘুমের মধ্যেই নুরজান টের পাইল মানুষটা আবার কেমন রাক্ষসের মত নুরজান রে কামড়াইয়া আঁচড়াইয়া ধরতাসে। আবার সেই কষ্ট । তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে নুরজান জিগাইল এমুন করেন ক্যান ? হঠাৎ মনে অইল অন্য কেউ কইতাসে মাল ডা খাসা রে বড়ই সুখ পাইলাম। এইবার নুরজান চোখ মেইলা নিজেরে দুইটা ব্যাডার লগে আবিস্কার করল। নুরজান চিৎকার কইরা মানুষটারে ডাকল ……আমারে বাঁচান আফনে কই আমারে বাঁচান………………। নুরজানের চিৎকার চার দেয়ালের বাইরে আর বের হইল না।
নুরজান জ্ঞান হারাইল। হুঁশ ফিরা দেখল খালা ওর পাশে বইসা আছে। খালায় কইল ‘এইবার উঠ গোছল কইরা খাইয়া তৈরি হ তোর লাইগা খদ্দের লাইন লাগাইছে’। নুরজান হাতে পায়ে ধইরা কইল ………খালা আফনে কি কন মানুষটা কই? এইবার খালা হুঙ্কার দিয়া কইল…………’আর নখরা করিস না তোরে ৫০০০০ টাকা দিয়া কিনছি তোর জামাইর কাছ থাইকা’।
দিন যায় বছর যায়। নুরজানের দিন কাটতে থাকে খালার বেশ্যালয়ে। খালায় সপ্তায় একদিন ছুটি দেয় । হেই দিন শেফালী , বকুল আরও সব মাইয়া মিলা হিন্দি সিনেমা দ্যাখে। খালায় কয় শুন ‘পুরুষ ব্যাডা সব সমান। ওরা তোরে ছিঁড়া খাইব কিন্তু ভালোবাসবো না । তারচাইতে এই ভালো । তোরা ভাল খাস, ভাল পিন্দস, সিনেমা দেহস । এহন পারলে নিজে গতরের মজা লইবি বুঝছস নি’।
নুরজানের মাঝে মাঝে মনে হয় এই জীবনডাই ভালা। কতায় কতায় কারো মাইর নাই। শরীর খারাপ লাগলে যদি শুইয়া থাকে খালায় কিছু কয় না। মাঝে মধ্যে এন জিও থাইকা আফারা আইয়া ওষুধ দেয় পরীক্ষা করে ।
কয়দিন ধইরা নুরজানের খালি বমি লাগে , কোন কিছু খাইতে মন চায় না। চোখের নিচে কালি জমছে। মাথাটাও খালি চক্কর দেয়। খালা চিন্তিত হইয়া নুরজানের রক্ত পরীক্ষা করতে দিল। দুই দিন পর খালায় মুখ গম্ভির কইরা কইল তোর সর্বনাশ হইছে রে নুরজান। তোর শরীরে মরন বাসা বাঁধছে । হেই দিন খালায় নুরজান রে বুকে নিয়া অনেক কানল আর মায়ের লাহান কইরা আদর করল। ডেরার চিপাতে ছোট একটা ঘরে নুরজান রে থাকতে দিল খালা। খালায় কইল তোর আর কাম করতে হইবনা। বাকি দিন আমি তোরে খাওয়ামু। মাঝে মধ্যে আফারা আইসা বড়ি দিয়া যায়। আফায় কয় তার নাকি এইডস হইছে ………। বেশী দিন আর বাঁচবো না। আর এহন যদি কোন পুরুষ পুলার লগে থাকে তয় তারও নাকি এই রোগ হইবো।
নুরজান ভাবে ভালই হইছে। মরন হইলেই ভালা। আইচ্ছা মরনের পর কি মায়ের লগে বাপজানের লগে দেহা অইব। আইজ কাইল এইসব ভাবতেই নুরজানের দিন কাটে ।
নুরজান হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করে তার ডেরার কাছে মালেক মদ খাইয়া মাতলামি করতাসে। টাকা না দিয়া শেফালির ঘরে ঢুকতে চাইতাসে। শেফালি খিস্তি কইরা মুখের উপর দরজা লাগাইয়া দিল।এইবার নুরজান সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলল। মাথায় লম্বা ঘোমটা দিয়া কইল আমার ঘরে আহেন টাকা লাগবো না। মালেক নেশার ঘোরে নুরজানের ঘরে ঢুকল । নুরজানের মনডা খুশীতে চমকাইয়া উঠল । দরজা বন্ধ কইরা আইজ সে নিজেই মালেকের কাছে নিজেরে সমর্পণ করলো । প্রতিশোধের আগুনে নুরজানের চোখ দুইটা ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মত চক চক করতে লাগল। বাইরে থাইকা খালার চিৎকার নুরজান কার সর্বনাশ করস দরজা খোল । নুরজান আরও শক্ত কইরা মালেক রে আঁকড়াইয়া ধরল। মালেক তহন গভীর সুখে নিমগ্ন খালার কতা মালেকের কানে পৌঁছাইল না।
মালেক রে বিদায় দেয়ার পর নুরজান যেন বাঁধনহারা পাখি। নুরজানের আইজ সুখে গুনগুন কইরা গলা ছাইড়া গান গাইতে লাগল। অনেকদিন পর আবার নুরজান সেই লাল শাড়িডা বাইর করল । যতন কইরা সাজলো। আয়নায় নিজেরে দেইখা নুরজান হাসতে লাগল । আইজ যে ওর হাসি থামতেই চায় না। ডেরার সবাই অবাক হইয়া নুরজানের দিকে চাইয়া রইল। আইজ অনেক দিন পর নুরজান সুখনিদ্রায় ডুইবা গেল। সে এক গভীর শান্তির ঘুম।
– হালিমা রিমা