আজকাল কোন কিছুই নিজের মতো করে হয়ে উঠে না, গোধূলি লগ্নে ঘরে ফেরার তাড়া আগের মতো এখন আর থাকে না, এক আকাশ যন্ত্রণা নিয়ে এখন ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হয় না।
সন্ধ্যা বাতি না জ্বেলেই আজকাল অন্ধকারে বসে থাকতে ইচ্ছে হয়।
একা একা ভীষণ যন্ত্রণায় কেটে যায় এক একটা মুহূর্ত,নিশ্চুপ বসে রাত জেগে জেগে কষ্টদের পাহাড়া দেই, চোখে ঘুম আসে না, চোখ বুঝলেই কেবলই তোমার আসা যাওয়া, তোমাকে ভেবে ভেবে বুকের ভেতর শূণ্যতা নেমে আসে।
তবু জোর দিয়ে বলতে পারি,
তোমাকে আমার একটুও মনে পড়ে না।
মধ্যরাত পেরিয়ে যখন চাঁদের আলো জানালা বেয়ে ভেতরে আসে, সে সময় আমি নির্বাক বসে পুরোনো ডায়েরিতে তোমাকে নিয়ে লেখা হাজারো কথা পড়ি, তখন তোমাকে ভাবতে গিয়ে বুকের ভেতর অসহ্য কষ্ট হয়,
মনে হয় এই বুঝি দম বন্ধ হয়ে এলো।
পাগলের মতো তখন নিকোটিনের ধোঁয়ায় বিষাদ উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করি।
তবু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি,
তোমাকে আমার একটুও মনে পড়ে না।
রাত যেমন অস্থিরতায় কেটে যায়, দিনে শত ব্যস্ততায় ও তোমাকে খুঁজে ফিরি আনমনে, তোমার প্রতিটি স্মৃতি ঘেরা মুহূর্ত আমাকে ভীষণ একা করে দেয়,
তখন তোমার মেসেন্জারে মেসেজের পর মেসেজ দেই, অথচ বহুদিন তুমি আর ফেইসবুক ব্যবহার করো না,
চিঠির পর চিঠি লিখি ভুল ঠিকানায়,
ডাক পিয়ন ফেরত নিয়ে আসে সব চিঠি।
ডায়েরির পাতায় পাতায় তবু লিখে যাই, তোমাকে নিয়ে হাজার স্বপ্নের কথা,
তবু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি,
তোমাকে আমার একটুও মনে পড়ে না।
নিকোটিনের তীব্রতায় ফুসফুস হয়তো কালচেটে হয়ে গেছে, ব্যর্থ প্রেমিকের ন্যায়, বুকে তীব্র ব্যাথা নিয়ে নিশ্চুপ শুয়ে থাকি হাসপাতালের সাদা চাদর ঘেরা বিছানায়,
অপরাহ্নের রঙ যখন শেষ হয়ে অন্ধকার নেমে আসে, আমি সেই অন্তিম মুহূর্তে প্রতিক্ষা করি, তুমি আসবে।
দিন যায়, মাস যায়,বছর পেরিয়ে গেলেও তুমি আসো না,
সে সময়গুলোতে চোখ দিয়ে একটু একটু করে গড়িয়ে পড়ে তীব্র অপেক্ষার জল।
বিশ্বাস করো তখনো আমার তোমাকে একটুও মনে পড়ে না।
–নিলয় আহমেদ