(যদিও মূল গল্পটি লিখেছিলাম আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে। ইনফ্যাক্ট, এই গল্পটি দিয়েই আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই অর্থে এটিই আমার প্রথম গল্প। পরবর্তীতে একই থিমের ওপর আরো গল্প লিখেছি কিন্তু প্রথম লেখার অন্যরকম অনুভূতি জড়িয়ে আছে এই লেখাটির সাথেই। এটি একটি গতানুগতিক, সহজ সরল ভালোবাসার গল্প। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।)
ক্রিং ক্রিং ক্রিং। প্রত্যুষে হাসানের ঘুম ভেঙ্গে গেল ফোনের শব্দে। সে বিরক্ত হয়ে বেডসাইড টেবিলে রাখা ফোনের দিকে তাকিয়ে আবার ব্লাঙ্কেট দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে রইল। সে এমনিতেই রাত করে বাসায় ফেরে। তাই সকালে একটু দেরিতেই উঠে—সকালের ঘুমটা তার খুবই প্রিয়। পরিস্থিতি তেমন না হলে খুব সকালে তার ঘুম ভাঙ্গার তেমন কোনো রেকর্ড নেই। কিছুক্ষণের মধ্যে বেডসাইড টেবিলের উপরে রাখা ফোনটি আবারো বেজে উঠল। হাসান অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ব্লাঙ্কেটের ভেতর থেকে মাথা বের করে ঘড়িতে সময় দেখল—সকাল সাতটা। সে ফোনটার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এ সময় আবার কে ফোন করলো। নিশ্চয়ই কোন টেলিমার্কেটিং এর লোকজন। নাহ, এদের যন্ত্রণায় দেখছি সকালে একটু আরাম করে ঘুমানোও যাবে না। যত্তসব।’সে আবারো ব্লাঙ্কেটের মধ্যে মাথা ঢুকাল এবং সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়ল। এক ঘণ্টা পর হাসানের ফোনটা আরেকবার বাজল। এবার সে মাথা তুলে ফোন হাতে নিয়ে ঘুম জড়ানো কণ্ঠেই বলল, ‘হ্যালো?’ ওপাশ থেকে অসম্ভব মিষ্টি একটা কণ্ঠ ভেসে আসল। রিনরিনে কণ্ঠে সে বলল, ‘হ্যালো, ক্যান আই স্পিক টু হাসান?’ হাসান ভ্রূ কুঁচকে বলল, ‘ইয়েস, স্পিকিং। হু ইজ দিস?’
ওপাশ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। একটু চুপ করে থেকে অসহিষ্ণু কণ্ঠে হাসান জিজ্ঞেস করল, ‘মে আই নো, হু ইজ কলিং?’ এবার নারী কণ্ঠ সাড়া দিল। সে বলল, ‘আমি!’ ‘আমি? আমি কে?’ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইল হাসান। ‘অপলা!’ ‘কে?’ ‘আমি অপলা।’ কয়েক মুহূর্তের জন্যে থমকে গেল হাসান—কথা আঁটকে গেল তার। সে অবাক হয়ে বলল, ‘অ-অপলা? আই মিন অপলা। তুমি?’ বলতে বলতে হাসান বিছানায় উঠে বসল। ‘হ্যাঁ, আমি।’ হাসানের চোখ-মুখ উজ্বল হয়ে উঠল। সে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলল, ‘হোয়াট অ্যা সারপ্রাইজ! ‘কি খুব অবাক হয়েছ?’ ‘অবাক হবো না! আমার তো এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।’ হাসান দ্রুত স্লিপিং গাউনটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়ল। ‘তোমার জন্যে আরও সারপ্রাইজ আছে।’ হাসান ফোনটা চোখের সামনে এনে একবার দেখল তারপর আবার কানে লাগিয়ে বলল, ‘আরও সারপ্রাইজ?’ ‘আমি আজ বিকালের ফ্লাইটে শিকাগো আসছি।’ ‘শিকাগো আসছ? কোথায়? মানে কার কাছে?’ ‘কার কাছে আবার? তোমার কাছে!’ ‘আমার কাছে? রিয়েলি?’ হাসান যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সে আবারো ফোনটা চোখের সামনে এনে দেখল তারপর কানে লাগিয়ে অপলার কথা শুনল। অপলা বলল, ‘কেন বিশ্বাস হচ্ছে না?’ ‘না, আই মিন হ্যাঁ। আই মিন…’ হাসান কী বলবে ভেবে পেল না। ‘এনি প্রবলেম?’ অপলা জানতে চাইল। ‘প্রবলেম ? আরে না না কিসের প্রবলেম?’ ‘ওকে—তাহলে বিকেলে দেখা হচ্ছে। এখন রাখছি…’ বলেই অপলা ফোনটা কেটে দিল। হাসান সঙ্গে সঙ্গে বলল, ‘ওয়েট! হ্যালো। অপলা?’ অপরপ্রান্ত থেকে কোনো সারা পাওয়া গেল না। হাসান ফোনটা চোখের সামনে এনে দেখে আবার কানে লাগিয়ে কয়েকবার বলল, হ্যালো। এত তাড়াতাড়ি অপলা ফোনটা কেটে দিবে সে ভাবতেই পারেনি। হাসান হঠাৎ অনুধাবণ করল অপলা আসছে—তার সঙ্গে আবার দেখা হবে। সে নিজেকে স্থির রাখতে পারল না। সে দু’হাত ওপরে ছুঁড়ে দিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বলল, ‘ও ইয়েস।’
মুহূর্তের মধ্যেই হাসানের সবকিছু কেমন যেন বদলে গেল। সে কিচেনে ঢুকে কফি মেশিনে কফি বানাতে দিয়ে দরজা খুলে আজকের নিউজ পেপার নিয়ে এল। তারপর, বড় এক মগ কফি নিয়ে বসল ব্যাকইয়ার্ডের ছাতার নিচে। আয়েশ করে কফিতে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকার পাতা ওলটাতে লাগল। যদিও কোনো খবরই তার কাছে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। আসলে পত্রিকার কোনো খবরের প্রতি তার কোনো আগ্রহও নেই এই মুহূর্তে—সে সারাক্ষণ ভাবতে থাকল অপলার কথা। তারপরেও হঠাৎ করেই সে আজকের রাশিফল পাতায় চোখ রাখল এবং কাকতালীয় ভাবে যেটুকু পড়ল তাতে তার ভাল লাগা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। রাশিফলে লেখা আছে—অনেকদিন পর আজকের সকালটা আপনার কাছে একটু অন্যরকম লাগবে। বিশেষ কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে কারো আগমন বা বা কোনো আকাঙ্ক্ষিত খবর। যার জন্য এতোদিনের অপেক্ষা। যে কোনো সময় চলে আসবে আকাঙ্ক্ষার সুখবর। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। কর্মক্ষেত্রে সুবাতাস বইবে। দূরযাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক… এটুকু পড়েই হাসান তাকাল চারিদিকে।সত্যিই আজকের সকালটা যেন একটু অন্যরকম। বাইরে মিষ্টি রোদের ঝলকানি। কেমন ফুরফুরে, আর ঝরঝরে। সকালটা তো কালও ছিল। তবে এমন ঝলমল সুনীল ছিল কি? হঠাৎ করেই শিকাগোর আকাশ ঝলমলে রোদের ঝলকানিতে চিকচিক করছে।
আজকের সকালটা অন্যরকম একটা ভাল লাগা দিয়ে শুরু হয়েছে হাসানের। সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গার পরে যে বিরক্তি শুরু হয়েছিল সেটি মিলিয়ে গেছে—অপলার ফোন পাওয়ার পর থেকেই। কেমন অদ্ভুত এক মন ভাল করা অনুভূতি হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। এই ভাল লাগার পাশাপাশি এক ধরণের অস্থিরতা পেয়ে বসল হাসানকে। অস্থিরতাটা কমছে না কিছুতেই। কারো সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভাল হতো। সে নিউজ পেপার বন্ধ করে মোবাইল ফোন থেকে ফোন করল রুবেলকে।
শনিবারের সকাল। শিকাগোর বিখ্যাত লেক মিশিগানের নর্থ বিচ সংলগ্ন একটা বেঞ্চে বসে রুবেল আর যুথি কথা বলছিল। আজ সারাদিন ঘুরাঘুরির প্ল্যান করে বের হয়েছে দুজনে। সপ্তাহে এই একটা মাত্র দিন তাদের দেখা হয়। তাও সব সময় যে হয় তা না। কাজেই সময়টাকে একে অপরের সান্নিধ্যে কাটাবার সর্বাত্নক চেষ্টা করে তারা।রুবেলের ফোন বাঁজতেই সে মোবাইলের স্ক্রিনে দেখল হাসানের নাম্বার। সে যুথিকে ইশারা দিয়ে ফোন ধরে বলল, ‘হ্যালো।’ ওপাশ থেকে হাসান বলল, ‘হ্যালো রুবেল? গেস হু জাস্ট কল্ড মি?’ ‘হু?’ রুবেল জানতে চাইল। ‘ইট ওয়াজ অপলা।’ ‘কোন অপলা?’ হাসান অবাক হয়ে বলল, ‘কোন অপলা মানে? ফাজলামো করো? তুমি বুঝি আর জানো না? ঘটনাটা শোনো…’ একটু থেমে হাসান বলল, ‘তখন সকাল আর কত হবে? এই ধরো সাতটার মতো। হঠাৎ একটা ফোনের শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি তো মহা বিরক্ত। এতো সকালে কে ফোন করল। মনে হয় টেলিমার্কেটিং—আমি তাই ফোন না ধরে ঘুমিয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ আবার ফোন এলো। এবার আমি ফোন ধরলাম। ওপাশ থেকে একটা মেয়ের কণ্ঠ। জিজ্ঞেস করলো, ক্যান আই স্পিক টু হাসান? আমি বললাম…’ হাসান বিরতিহীনভাবে বলে চলল। রুবেল কথার মাঝখানে তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘হাসান ভাই, আপনি কি পুরা ফোনের কনভারসেশন এখন আমাকে ফোনেই শোনাবেন নাকি? আমি বরং আপনার ওখানে চলে আসি, তারপর না হয় সব কথা শোনা যাবে?’ ‘আরে শোনই না, তারপর কী হলো। হ্যাঁ কোথায় যেন ছিলাম?’ উত্তেজিত কণ্ঠে হাসান আবার শুরু করল, ‘ও হ্যাঁ আমি বললাম, আপনি কে? সে বলল, আমি অপলা। আমি আসছি শিকাগোতে। আমি বললাম কোথায় আসছ, কার কাছে উঠবে। ও বলল, কার কাছে আবার? তোমার কাছে? আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই সে বলল, এখন রাখি বলেই ফোন রেখে দিল। কোনো মানে হয় বলো?’ ‘এখন কি আপনার খুব খারাপ লাগতেছে?’ দুষ্টুমির সুরে রুবেল বলল। ‘না না খারাপ লাগবে কেন? ও তো আমার এখানেই আসছে।’ ‘তাইলে এখন কী করবেন?’ ‘অপলার পছন্দের একটা আইটেম রান্না করবো। আই’ম গোয়িং টু মেক এ স্পেশাল ডিশ ফর হার। তারপর দুজনে মিলে ডিনার। এ ক্যাণ্ডেললাইট ডিনার ফর টু—জাস্ট ফর টু অফ আস!’ ‘তারপর?’ রুবেলের মুখে দুষ্টুমির হাসি। ‘তারপর আবার কী?’ রুবেলের দুষ্টুমি ধরতে একটু সময় লাগল হাসানের। ইঙ্গিত বুঝতে পেরে সে বলল, ‘ফাজলামো হচ্ছে?’ ‘আপনি কি নার্ভাস?’ ‘আরে না না, নার্ভাস হতে যাবো কেন? আসলে অনেক দিন পর তো, তাই।’ ‘কিন্তু আমার তো মনে হইতেছে আপনি নার্ভাস হয়ে যাইতেছেন।’ ‘ইয়ে মানে, আসলে তুমি ঠিকই বলেছ। এখন যেন কেমন একটু নার্ভাস লাগছে।’ কথা বলতে বলতে হাসান ঢুকল ঘরের ভেতর। রান্না ঘরে এসে ফ্রিজ খুলে দেখল—ফ্রিজ খালি। রান্না করার মত তেমন কোনো কিছুই চোখে পড়ল না। সে রুবেলকে বলল, ‘গ্রোসারী করতে হবে। মাই ফ্রিজ ইজ এম্পটি।’ হাসান ঘরের চারিদিকে তাকিয়ে দেখল—সব কিছুই কেমন অগোছালো। সে বলল, ‘এদিকে বাসাটাও একটু ক্লিন করা দরকার।’ রুবেল যুথির দিকে তাকিয়ে দেখল—বিরক্ত হয়ে ভ্রূ কুঁচকে তাকিয়ে আছে সে। কিসের এত কথা? রুবেল আঙুল দিয়ে যুথিকে অস্থির না হবার ভঙ্গি করল। তারপর বলল, ‘হাসান ভাই, আপনি চাইলে আমি এসে হেল্প করতে পারি।’ ‘না না তোমাকে আসতে হবে না। তুমি এসে আবার সব উল্টা পাল্টা করবে। না তার দরকার নেই। আমি একাই সামলাতে পারব।’ হাসান ঘড়ি দেখল। এবং সঙ্গে সঙ্গে বলল, ‘আমাকে এখন যেতে হচ্ছে। রাখি কেমন? পরে কথা হবে।’ কথা না বাড়িয়ে সে ফোন কেটে দিল।
হাসান ফোন কেটে দিতেই রুবেল যুথির দিকে তাকিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে বলল, ‘যুথি, আমাকে এক্ষুণি একটু যেতে হবে।’হাসানের ফোন আসার পর থেকেই যুথি লক্ষ্য করছিল রুবেলকে এবং ওর কথাও সে শুনেছে। সে অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘যেতে হবে মানে? কোথায়?’ ‘কোথায় আবার? হাসান ভাইয়ের ওখানে।’ ‘আমার তো মনে হলো উনি তোমাকে যেতে নিষেধ করলেন।’ ‘আরে উনি নিষেধ করলেই হবে? আমার একটা দায়িত্ব আছে না।’ যুথি প্রচণ্ড বিরক্ত হলো। সে মুখ ঘুরিয়ে তাকাল লেকের দিকে। রুবেল একটু ইতস্তত করে বলল, ‘ইয়ে, তুমি এক কাজ করো—তুমি বাস কিংবা ট্রেন ধরে বাসায় চলে যাও, আমি তোমাকে পরে কল করব। ওকে?’ যুথি এবার রাগান্বিত কণ্ঠে বলল, ‘দ্যাটস নট ফেয়ার রুবেল। আই থট উই হ্যাভ প্ল্যান—পার্কে যাব, মুভি দেখব আর এখন কিনা তুমি…’ রাগে কথা বন্ধ করে যুথি আবারো লেকের দিকে ঘুরে তাকাল। রুবেল কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আর কোনো কথা না বলেই চলে গেল যুথিকে একা ফেলে। যুথি ওর চলে যাওয়ার দিকে অবিশ্বাস্যভাবে তাকিয়ে আবারো বলল, ‘দ্যাটস নট ফেয়ার।’ কাপড় বদলে হাসান পেছনের গাড়ি গ্যারাজে গিয়ে ঢুকল। তার বিএমডব্লিউ এসইউভি গাড়িটি স্টার্ট দিয়ে গ্যারাজ খুলে বের হয়ে গেল ধীরে ধীরে।
সামনে পেছনে প্রায় ১০ হাজার বর্গ ফুটের বিস্তৃত সবুজ প্লটে ৬ হাজার বর্গ ফুটের ভিক্টোরিয়ান স্টাইলের দোতলা প্রাসাদোপম বাড়িটি মাত্র বছর খানেক হলো হাসান তৈরী করেছে শিকাগোর অদূরের একটি উপশহরের অভিজাত আবাসিক এলাকায়। চারিদিকে আভিজাত্যের ছায়া। ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে ভেতরের সব কিছু ডিজাইন করা। উঁচু সিলিংএর ঘরের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত উঁচু পর্দা দিয়ে গ্লাসের জানালাগুলো ঢেকে দেয়া। অন্দরের সম্পূর্ণ সজ্জায় আধুনিকতার ছোঁয়া। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট ও স্থাপনার ছবি দিয়ে দেয়ালগুলো সাজানো হয়েছে। ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে সবকিছুর ভেতরেই নতুনত্বের ছোঁয়া—দারুণ একটা শৈল্পিক ব্যাপার সব কিছুর মধ্যেই। বাড়ির পেছনে সুইমিং পুল। বাড়ির সামনে সুন্দর করে সাজানো ফুলের বাগান। একেই হয়ত বলে স্বপ্নের বাড়ি—হাসানের স্বপ্নের বাড়ি।আবাসিক এলাকা পার হয়ে হাইওয়েতে এসে পড়ল হাসানের বিএমডব্লিউ এসইউভি। গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে গেল সে। তার মনে পড়ল সেদিনটির কথা—
(চলবে…)
-ফরহাদ হোসেন
লেখক,নির্মাতা ডালাস,টেক্সাস।